পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R বংশ-পরিচয় বেগারদের এত বেশী খাওয়াও যে, তারা বিকাল বেলায় আর কোন কাজ করতে পারে না।” এই কথা শুনিয়া অম্বিকা দেবী বলিয়া উঠিলেন, “তুই বলিস কি রে! গরীব প্ৰজারা শুধু কি তোর কাজ করতেই আসে ? তারা আশা করে আসে যে, জমিদারের ঘরে একদিন পেট ভরে দুটো ভাল জিনিষ খাবে। ভরা পেটে কাজ করতে পারে না—সেদিকেও যদি নজর দিস, তা হলে আমরা গেলে তুই দেখছি প্ৰজা পালবি ভাল।” জননীর এই কথা শুনিয়া সত্যাদি স্কার লজ্জিত হইয়া তখনই আবশ্যক মাছ ও খেজুর গুড় সংগ্ৰহ করাইয়া দিয়াছিলেন ! একদিনে সমস্ত বেগার লওয়া সুবিধাজনক নহে জানিয়া এবং প্রজাদেরও "অবসর ও সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া ৫। ৭ দিন ধরিয়া ১৫ হইতে ৩০ জন পস্যন্ত বেগার লওঃ- হইত। অম্বিকাদেবীর স্নেহ ও যত্নপূর্ণ ভোজন-ব্যবস্থার লোভ দুই এক জন প্ৰজা একদিনের স্থলে তিন চারি দিন বেগার দিতে আদিত। গোমস্তাগণ নিবারণ করিলেও শুনিত না, সহকৰ্ম্মীগণ পেটুক বলিয়া ঠাট্টা করিলেও মানিত না । শৈশবে মাতৃপিতৃহীন রাজকৃষ্ণ স্নেহশীল অগ্ৰজ প্ৰাণকৃষ্ণের প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন ; প্ৰাণকৃষ্ণ ও অনুজের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন। দুইভাইয়ের পরস্পরের প্রতি অনুরক্তি এত বেশী ছিল যে, রাজকৃষ্ণের ১৭১৮ বৎসর বয়স পর্যন্ত দুই এক মাসের জন্য বিচ্ছিন্ন হইতে হইলেই দুই ভাইয়ের চোখে অশ্রদ্ কারিয়া পড়িত। এদিকে ভাইয়ে ভাইয়ে এই মেহের টান, ও দিকে সে সময়ে শুড়িপুষ্করিণীর নিকটবৰ্ত্তী কোন স্থানে এণ্টান্স স্কুলের অনস্তিত্ব, কাজেই গ্রামের পাঠশালায় বাঙ্গালা শিক্ষা এবং অগ্রজের নিকট দুই একখান ইংরাজী পুস্তকপাঠে কয় বৎসর অতিবাহিত করিবার পর কিছু বেশী বয়সেই রাজকৃষ্ণকে স্কুলে ভক্তি করা হয়। প্ৰাণকৃষ্ণ প্ৰথমে তঁহাকে বাঁকুড়া জেলার কুচিয়া-কোল স্কুলে ভক্তি করিয়া দেন । সেখানে দুই এক বৎসর