পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ A কিন্তু শুড়িপুষ্করিণীতে আসিতেই তিনি পুনরায় ম্যালেরিয়ায় আক্রাস্ত হন । ঐ সময়ে সত্যকিঙ্করের জননীরও পীড়া হওয়ায় প্ৰাণকৃষ্ণ পত্নী ও পুত্রকে স্বাস্ত্যলাভের জন্য গিরিডিতে লইয়া যান। ঐ সময়ে দেড় দুই বৎসরকাল সত্যধিক স্কদের নিয়মিত শিক্ষার কোন ব্যবস্তাই হয় নাই । প্ৰাণকৃষ্ণঃ সব সময়েই গিরিডিতে থাকিতে পাইতেন না, কাৰ্য্যানুরোধে তাছাকে স্থানান্তরে যাইতে হষ্টিত । যখন গিরিডিতে থাকিতেন, তখন অবসর-সময়ে পুলকে আখ্যানমঞ্জরী, পদ্যপাঠ প্রভৃতি বাঙ্গালাপুস্তক এবং ইংরাজী ফাষ্টবুক পীডাহঁতেন এবং ইংরাজী ও বাঙ্গাল লিখাইতেন । জননীর প্রেরণায় তাহাকে পড়িয়া শুনাইবার আগ্ৰছে সত্যকিঙ্করের ৬৭ বৎসর বয়সেই কৃত্তিবাসী রামায়ণ ও কাশীদাসী মহাভারত-পাঠে অত্যন্ত অনুরাগ জন্মিয়াছিল । ঐ দেড় দুই বৎসরের মধ্যে অবসর পাইলেই ঐ দুই পুস্তক আগ্ৰছ সহকারে পাঠ করিতে করিতে আখ্যায়িকী গুলি তাহার আ% বৃত্ত হইয়াছিল এবং বাঙ্গালাভাষাতেও কিঞ্চিৎ অধিকার জন্মিয় ছিল । সে সময়ে গিরিডিতে বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব কম ছিল । যে কয় জন বাঙ্গালী ছিলেন তাহাদের পুলগণের শিক্ষার জন্যও কোন বিদ্যালয় ছিল না | শিক্ষণ-প্রতিষ্ঠানের অভাব তীব্ৰৰূপে অনুভূত হওয়ায় রেলের কৰ্ম্মচারী বিদ্যোৎসাহী পূৰ্ণচন্দ্ৰ মিত্ৰ মহাশখের চেষ্টায় বাঙ্গালীগণের এবং কয়জন বিহারী ভদ্রলোকের সহযোগিতায় গিরিডি ষ্টেশনের নিকটবৰ্ত্তী একটা ক্ষুদ্র খাপরার গৃহে অল্প কয়জন ছাত্ৰ লইয়া একটি মাইনর স্কুলের পত্তন হয় । সত্যকিঙ্কর ঐ স্কুলের আদি ছাত্ৰগণের মধ্যে এক জন । তাহার বুদ্ধিমত্তা, পাঠে অনুরাগ এবং রামায়ণ-মহাভারতের আখ্যায়িকাগুলি আয়ত্ত থাকা হেতু তিনি শিক্ষকগণের প্রিয় ছিলেন। দেড় দুই বৎসর পরে পাঁচম্বার স্কুলটির এরূপ অবনতি ঘটে যে, তাহার পরিচালনা সুকঠিন হইয়া উঠে । এই সুযোগে গিরিডি মাইনর স্কুলের কর্তৃপক্ষ