পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sty বংশ-পরিচয় YuDBB DD BD DD BBSDD D BBDLD YDD DBDBBBBBY Tg সকল লোককে তাহার বাড়ীতে আশ্রয় দিতেন। আর র্যাহারা বারমাসই বাড়ীতে থাকিতেন, তাহদের ত কথাই নাই। সামান্য কোনও প্ৰকার সম্বন্ধ থাকিলেই সেই ব্যক্তি রায়েদের পরিবারভুক্ত হইয়া পড়িতেন। সেই সময়ে জিনিসপত্র খুবই সস্তা ছিল ; কাজেই বহুলোককে ভরণপোষণ করিতে বড় বেশী কষ্ট পাইতে হইত না । যদি কখনও শ্যামসুন্দর অভাবে পড়িতেন, অমনি ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইতেন । তিনি বলিতেন,-আমি ত উপলক্ষ্যমাত্র ; ঈশ্বরই ইহাদিগকে ভরণপোষণ করিবেন। তাহদের বাড়ীতে সৰ্ব্বদা বহুলোকজন থাকিত। বহুদূরবত্তী স্থান পৰ্য্যন্ত শ্যামসুন্দরের নাম প্ৰচারিত ছিল । শ্যামসুন্দরের পিতার সমাধিস্থলে, বসতবাটীর অনেকটা দক্ষিণাংশে থালের পারে একটা মঠ স্থাপিত হইয়াছিল। লোকে ইহাকে “শ্যামসুন্দরের মঠ” আখ্যা দিয়াছিল। এই খাল দিয়া নানাস্থানের লোক ঢাকায় যাতায়াত করিতেন । তাহারা সকলেই “শ্যামসুন্দরের মঠে’র কথা জানিতেন । সেই মঠ-বাড়ীতে এক হরি-স্থাপনা হয়, অদ্যাপি সেই বাড়ী “হরি-বাড়ী’ নামে প্ৰসিদ্ধ। এই হরিবাড়ী’তে বৈষ্ণবেরা থাকিতেন। বহু দূর-দূরান্তর হইতে এই মঠে লোক-সমাগম হইত। প্ৰত্যহ সন্ধ্যার সময়ে এই মঠে। হরিসঙ্কীৰ্ত্তন ও হরিলুঢ় হইত। এই মঠ এবং হরিবাড়ী এখনও বৰ্ত্তমান আছে। একবার ঐ মঠে বজ্ৰপাত হইয়াছিল, উহার ফলে মঠের কিয়দংশ নষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু শ্যামসুন্দরের মধ্যম ভ্ৰাতা ডক্টর পি-কে রায়ের ব্যয়ে শ্যামসুন্দরের মাতাঠাকুরাণী তাহা মেরামত করাইয়া দিয়াছিলেন। ডাঃ দ্বারকানাথের পিতা শ্যামসুন্দর বড় চাকুরী করিতেন না বটে, কিন্তু তাহা হইলে কি হয়, তিনি সন্মানের সহিত জীবন অতিবাহিত করিয়া গিয়াছেন। লোকে তাহাকে যথেষ্ট সম্মান ও খাতির করিত। তিনি বড় চাকুরী করিতেন না বলিয়া কিছু সঞ্চয় করিতে পারেন নাই। বৃদ্ধ বয়সে