পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

San) 3R st-fits চাহেন নাই । তায় আসিয়া শিবপুর ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে ভৰ্ত্তি হইবার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহা ফলবতী হয় নাই। তার পর ব্যবসায় করিবেন করিবেন করিয়াও কিছুদিন অতিবাহিত হইল। অতঃপর Casual Student, হইয়া দ্বারকানাথ। ১৮৭৯ খৃ ব্দের জুন মাসে মেডিক্যাল কলেজে ভৰ্ত্তি হইলেন। সে সময়ে দ্বারকানাথের বয়স পাঁচিশ বৎসর। যে সময়ে দ্বারকানাথ মেডিক্যাল কলেজে ভৰ্ত্তি হন, সেই সময়ে ৪৫ নং বেনেটোলা লেনে ছেলেদের থাকিবার একটা বোডিং ছিল । ইহার নাম ছিল আনন্দমোহন বসুর বোডিং । আচাৰ্য্য স্যার জগদীশচন্দ্ৰ বসুর পিতা ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট ভগবানচন্দ্ৰ বসু মহাশয় এই বোর্ডিংয়ের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন। ইনি আনন্দমোহন বসুর শ্বশুর ছিলেন ; এই বোডিংয়ে থাকিবার সময়ে দ্বারকানাথের সহিত দক্ষিণ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক ছাত্রের আলাপ-পরিচয় হয়। ইহাদের অনেকে দ্বারকানাথ ও অপরাপর পূর্ববঙ্গবাসী ছাত্ৰাদিগকে “বাঙ্গাল” বলিয়া ঠাট্টা করিত। এজন্য পূর্ববঙ্গীয় কোনও কোনও ছাত্র রাগিয়া যাইত ও ফলে ঝগড়া হইত। কিন্তু দ্বারকানাথকে “বাঙ্গাল” বলিলে রাগ করিতেন না । তাহার অসাধারণ ধৈৰ্য্য ও সহিষ্ণুতা ছিল। দ্বারকানাথ বলিতেন,-পূর্ববঙ্গবাসী ছাত্রদের কথাবাৰ্ত্তা ও উচ্চারণ এত তফাৎ ছিল যে, কলিকাতাবাসী লোকমাত্রেরই কানে তাহ বাজিত । এই জন্য পূর্ববঙ্গের অধিবাসীদের কথা বুঝিতে না পারার জন্যও সময়ে সময়ে ঝগড়া হইত। দ্বারকানাথ রাগ করতেন না বলিয়া তাহাকে কেহ ‘বাঙ্গাল’ বলিয়া ক্ষেপাইত না । তিনি সকলের সহিতই ভাব রাখিয়া ও মিলিয়া মিশিয়া চলিতেন । বাসার বি-চাকরেরা পৰ্য্যন্ত পূর্ববঙ্গের ছাত্ৰাদিগকে “বাঙ্গল” বলিয়া অবহেলা করিত। দ্বারকানাথ ইহাতে কিছু মনে করিতেন না। এই জন্য যে, ঢাকার লোকেরাও শ্ৰীহট্ট ও চট্টগ্রামের লোকদিগকে ঊর্তাহাদের কথাবাৰ্ত্তার জন্য এইরূপ উপহাস করিতেন ।