পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ডাক্তার দ্বারকানাথ রায় SS কোনও রূপ ব্যথা ধরিলু না। দাদা কলেজ হইতে ফিরিয়া আসিয়া রোজ নীচে হইতেই জানিতে পারিতেন, বধূঠাকুরাণী যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করিতেছেন । কিন্তু সেদিন কোন সাড়া-শব্দ না পাইয়া সোজা ঘরে আসিয়া বলিলেন,-“আজি তে দেখি তুমি বেশ ভাল আছ, তবে আজকার ঔষধটাতে বেশ উপকার করিয়াছে।” দ্বারকানাথ সেখানে বসিয়া ছিলেন । তিনি কিছু বলিলেন না ; মনে মনে হাসিতে লাগিলেন মাত্র । পরদিন ডাক্তার আসিলে তঁহাকে জানাইয়া দেওয়া হইল-কাল রোগী ভাল ছিলেন। তিনি সেই ঔষধই খাইতে বলিয়া চলিয়। যাইলেন । বৌদিদি। ও দ্বারকানাথ কোন বিষয় ফাস করিলেন না ; মনে করিলেন, আরও দুই চারিদিন দেখা যাউক। পূর্বের দিন ভাল ছিলেন বলিয়া দ্বারকানাথ কেবল একবার সেই ঔষধই দিয়াছিলেন, সেই দিনও তিনি বেশ ভাল। রহিলেন । পরদিনও যেমন ডাত্তর আসেন আসিয়া দেখিয়া গেলেন । এত ভাল আছেন দেখিয়া দ্বারকানাথ তাহাকে উঠিয়া বসিতে বলিলেন, তিনিও প্ৰায় দেড়মাস বিছানায় শুইয়া থাকিয়া সেদিন বসিয়া বড় আরাম পাইলেন। দ্বারকানাথ আর ঔষধ দিলেন না। এইরূপে দিন দিনই তিনি সুস্থ হইতে লাগিলেন। যখন তিনি পাচ দিনের দিন একটুকু চলিয়াও কষ্টবোধ করিলেন না, তখন বৌদিদি দাদাকে দ্বারকানাথের সাক্ষাতে হাসিতে হাসিতে সব কথা খুলিয়া বলিলেন, আর বলিলেন, দেখ hor. Crombyর ঔষধ ওখানে লুকানো আছে। দাদা ইহা শুনিয়া অবাক হইলেন। বধুঠাকুরাণী এই রূপে আরাম হইয়া নীচে টেবিলে খাইতে আসিতে লাগিলেন ও অল্প অল্প চলা-ফিরা করিতে লাগিলেন । ইহাতে দ্বারকানাথের মনে বড়ই আনন্দ বোধ হইল। কারণ র্তাহার প্রথম রোগীই বধুঠাকুরাণীযিনি এত কষ্ট করিয়া তাহাকে বিলাতে পাঠাইয়া ছিলেন । তঁহার রোগযন্ত্রণা এত শীঘ্ৰ নিবারণ করিতে পারা হইল, ইহা অপেক্ষ তাহার পক্ষে আহিলাদের বিষয় আর কি আছে ।