পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় والصbج বাণিজ্যে প্রতিশ্রুতি-রক্ষা প্রভৃতি সদগুণ সন্দর্শন করিয়া তখনই বুঝিতে পারি দ্বাছিলেন যে, ইংরাজ কুঠী ওয়ালা বণিকগণের সহিত উহাদের নূতন আবাসস্থান কলিকাতায় যাইলে ভবিষ্যতে তাঁহাদেরও ব্যবসায়-বাণিজ্যের সুবিধা ও বিপুল অৰ্থাগম হইবে। সুবর্ণবণিকগণ স্বভাবতই তীক্ষ্মবুদ্ধিমান এবং দূরদর্শী ; তাহারা স্পষ্টই উপলব্ধি করিয়াছিলেন যে, ইংরাজের চেষ্টায়। শীঘ্রই এই তিনটী নগণ্য গ্রাম বিরাট বাণিজ্য-কোন্দ্রে পরিণত হইবে । লক্ষীকান্ত ধর হুগলীর ইংরেজ কুঠীয়ালগণের সহিত যে সকল সুবর্ণবণিক মহাজন কলিকাতা ও চলি যা আসিয়া বসবাস স্থাপন করিয়াছিলেন তাঙ্কাদের মধ্যে লক্ষ্মীকান্ত প্ৰৱ অন্যতম। সুবর্ণবণিক মহাজনগণের মধ্যে তখন ইনিই ছিলেন সর্বাপেক্ষ ধন্যবান ও প্রভাব-প্ৰতিপত্তিশালী । জনসাধারণের নিকট ইনি নব্বুই প্ৰধর নামে পরিচিত ছিলেন। এই ধরা-বংশের আদিনিবাস ছিল সপ্তগ্রামে। পরে ইহাদের উপাধি “রা:” হইয়া যায় এবং রায়-উপাধিকরূপেই ইহার। পরিচিত হন। এই লক্ষ্মীকান্তই কলিকাতােস্থ পোস্ত-রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বা আদিপুরুষ । লক্ষ্মীকান্তের যেরূপ প্ৰভূত ধন-রত্বে ছিল, তেমনই তাহার দানও অপরিসীম ছিল। জগৎ শেঠ যেমন মুর্শিদাবাদের নবাবদিগকে টাকা জোগাইতেন ইনিও সেইরূপ শিশু ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীকে অগ্রিম টাকা দিয়া সাহায্য করিতেন। পলাশীর যুদ্ধের কিছু পূর্বে যখন ইংরেজ বণিকদের অস্তিত্ব পৰ্য্যন্ত বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছিল, যখন ক্লাইভ অন্ধকূপ-হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিলেন, যখন ইংলণ্ড যাইতে হইলে প্ৰায় এক বৎসর সময় লাগিতা এবং যখন ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির আর্থিক প্ৰতিপত্তি কিছুমাত্র ছিল না বলিলেই