পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V0 o brY yet-sifts করিয়া হেমেন্দ্ৰনাথ ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ২০শে ডিসেম্বর কলিকাতা হাইকোটে ওকালতী আরম্ভ করেন। তিনি যখন হাইকোর্টে ওকালতী করিতে ব্ৰতী হন, সেই সময়ে তাহার কয়েক জন সতীর্থ কলিকাতা হাইকোটে উকীল রূপে প্ৰসিদ্ধি অৰ্জন করিতেছেন। তঁহার সেই সকল সতীথের মধ্যে স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, মহেন্দ্ৰনাথ রায়, যোগেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং জে-সি দত্ত এই কয়জনের নাম উল্লেখযোগ্য। হাইকোর্টে আসিয়া হেমেন্দ্রনাথ অল্পদিনের মধ্যেই যোগ্যতার পরিচয় দেন এবং তঁাহার কৃতিত্ব ও সুষশঃ ফুটিয়া উঠে । ইহার উপর হেমেন্ত্রনাথের প্রকৃতি ছিল সাত্ত্বিক ; অহঙ্কার ও মাৎসৰ্য্য তঁাহার একেবারেই ছিল না । তিনি বিনয়ী, শিষ্টাচার-সম্পন্ন এবং মিষ্টভাষী ছিলেন । চরিত্রের দৃঢ়তা ও স্বভাবের কোমলতা এই দুইটীর মধুর সামঞ্জস্য র্তাহাতে প্ৰকটি হইয়াছিল । এইসকল গুণে তিনি এত শীঘ্ৰ তাহার সতীৰ্থগণের প্ৰিয় হইয়া উঠিয়াছিলেন যে, তাহারা তাহাকে উকিল লাইব্রেরী এসোসিয়েসনের সেক্রেটারী-পদে অধিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । এখনকার অধিকাংশ শিক্ষিত ব্যক্তি জীবনে সাফল্য লাভ করিয়া - প্রাচুৰ্য্যের অধিকারী হইয়া সহর বা নগরে বসবাস স্থাপন করিয়া উহাকে যোল আনা সজ্জিত করিতে প্ৰবৃত্ত হন এবং আপনাদের জন্মস্থানপল্পীভূমিকে একেবারে বিশ্বত হন। বৈকুণ্ঠনাথ ও হেমেন্দ্রনাথ দুই ভ্ৰাতা ইহার বিপরীত ছিলেন। উপাৰ্জনের অনুরোধে তাহার কৰ্ম্মস্থলে অবস্থান করিতেন বটে। কিন্তু তঁহাদের পল্পীভূমিকে শ্ৰীমণ্ডিত করিবার জন্য র্তাহারা আজীবন চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। আলমপুরের অধিবাসীদিগের জন্য র্তাহারা পুষ্করিণী প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, দেবালয় স্থাপন করিয়াছেন, বিদ্যালয় ও চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। বৈকুণ্ঠনাথ যেমন বিপুল অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছিলেন তেমনই সেই অর্থের সদ্ব্যয়ও তিনি করিয়া গিয়াছেন। পল্পীভূমির শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধনে তিনি মুক্তহন্তে অর্থব্যয় করিতেন।