পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর আবেলি কেরিম গাজ নবী VᎤᏙ2ᏙS? এই তাত লইবার জন্য উদগ্রীব হইয়া পড়িল। নিজ জেলার গ্ৰাম্য বয়নশিল্পকে উন্নত ও পুষ্ট করিবার জন্য তিনি নিজ ব্যয়ে একদল লোককে অধ্যাপক হাভেলের নিকটে শ্ৰীরামপুরের বয়ন বিদ্যালয়ে ঠ কঠকি ভঁাত চালাইবার কৌশল শিক্ষা করিবার জন্য প্রেরণ করিলেন। ইহার ঠকঠকি তাত চালাইতে, এমন কি, ঠিকঠকি তাত পৰ্য্যন্ত তৈয়ারী করিতেও শিখিয়া স্বগ্রামে ফিরিয়া আসিল । এই সময়ে টাঙ্গাইলে প্ৰথম কৃষি ও শিল্প-প্ৰদৰ্শনী খোলা হয়। এই প্রদর্শনীতে স্যার গাজ নবীর শিক্ষিত শিল্পিগণ নিজের ঠকঠকি তঁাত তৈয়ারী করিয়া দর্শকগণকে দেখাইয়াছিল। ইহাব ফলে ঠিকঠকি তাত কেবল টাঙ্গাইল মহকুমায় কেনসমগ্র ময়মনসিংহে এবং পূৰ্ব্ববঙ্গের অন্যান্য স্থানে প্রচলিত হইয়াছিল। বঙ্গব্যবচ্ছেদ আন্দোলনের সময়ে তঁাচার কৰ্ম্মকুশলতা গত ১৯০৫-১৯০৬ খৃষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে নূতন প্ৰদেশ গঠিত হয় । স্তর ব্যামফিল্ড ফুলার এই প্রদেশের প্রথম শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হন । সেই সময়ে বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন চলিতেছিল। স্যার গাজনবী তখন শান্তি ও শৃঙ্খলার সহায়তা-কল্পে বাঙ্গালার শাসন-পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মিঃ পি সি লায়ন, মিঃ ন্যাথান, মিঃ লা মানুহরিয়ার ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ রাজপুরুষগণের সহিত সহযোগিতা করেন। ঢাকার ভূতপূৰ্ব্ব নবাব স্তর সলিমুল্লা বাহাদুরের নেতৃত্বাধীনে সমগ্র মুসলমান সমাজ বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের অনুকূলে ছিলেন । গাজনৰীও ভঁাহাদের সহিত বঙ্গ-ব বিচ্ছেদে আনুকূল্য করিয়াছিলেন। অধিকন্তু তিনি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্ভাব স্থাপনায় জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াছিলেন। তখন জামালপুর ও কুমিল্লার হাঙ্গামার জন্য উভয় সম্প্রদায়ের ভিতরে অশান্তি ও বিদ্বেষের সঞ্চার হইয়াছিল। এই সংকাৰ্য্যের জঙ্গ স্যার গজনবী পথ ধমেন্ট ও জনসাধারণের খাবােচা ন হই আছিলেন ।