পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v Kyr বংশ পরিচয় দীননাথ প্ৰভুপাদ শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর উৎসাহ ও সহানুভূতি লাভ করেন । সন ১৩২১ সালে ফাত্তন মাসে দীননাথের মধ্যম পুত্ৰ অদ্বৈতচরণ দা সব মৃত্যু হয়। তিনি পুত্ৰশোকে কাতর না হইয়াও পূৰ্ববং স্বয়ং ম। নদীর-নিৰ্ম্মাণের কার্য চালাইতে লাগিলেন এবং ১৩২২ সালে বৈশাখ মাসের শেষে মন্দির নিৰ্ম্মিত হইল ; কিন্তু বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠার জন্য দীননাথের হৃদয় যে কিরূপ ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছিল তােহা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। তিনি বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠার জন্য দিবারাত্ৰ শ্ৰীভগবানের নিকট করুণভাবে প্ৰাথনা করিতেন এবং বলিতেন, “হে প্ৰভু ! এই দাসানুদাসের সঙ্কল্প সিদ্ধ করিয়া দিন ।” শ্ৰীভগবানকে কাতর কণ্ঠে ডাকিতেন, আর র্তাহার দুই নয়ন দিয়া ভক্তি-অশ্রি প্রবাহিত হইত। বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠার জন্য তিনি আকুলিবিকুলি করিয়া বেড়াইতেন । মন্দিরে বিগ্রহ যাহাতে প্ৰতিষ্ঠিত হয়, সেই জন্য তিনি পণ্ডিত প্রবর শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী ও উদারচেতা (এক্ষণে স্বৰ্গীয় ) মাণিকচাদ গোস্বামীর শরণাপন্ন হন। দীননাথ তাহদের নির্দেশমত বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠা করাইবেন এবং এই মন্দিরে শ্ৰীশ্ৰীীরাধাগোবিন্দের নিকট বিশুদ্ধভাবে যথাবিধানে নিবেদিত দ্রব্যাদি গোস্বামী প্ৰভুরা সেবা করিবেন-এই বাসনাটি প্ৰকাশ করিলে প্ৰভুপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত না করিয়া গোস্বামী প্ৰভু গণের এক সভা আহবান করেন। পরে কলিকাতা সহরের সিমুলিয়ার প্রসিদ্ধ এটণী শ্ৰীযুত পান্নালাল দে মহাশয়ের ভবনে এক প্ৰকাশ্য সভা হয় । এই সভায় সভাপতি হইয়াছিলেন বটতলার শ্ৰীযুক্ত গোবিনৰ্চাদ গোস্বামী। সেই সভায় স্থির হয় :- ১। শ্ৰীপটি খড়দহ ও কলিকাতার সমস্ত গোস্বামী প্ৰভুসন্তান এই মন্দিরে সেবা গ্ৰহণ করিবেন।