পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহালার রায়-বংশ VY লবণ সংগ্ৰহ করিতেছে । রঙ্গপুর স্পেশ্যাল টিবিউন্যালে কতকগুলি আসামীর বিচারারম্ভের সময়ে সরকারী উকীল বলেন,-লুঠ হইতেছে কেবল কাপড় ও লবণ ; কারণ এই দুইটী জিনিষের মূল্য অত্যন্ত অধিক হইয়াছে। লোকে দেখিতেছে যে, তাহদের দেশে লবণ যথেষ্ট রহিয়াছে এবং তাহারা লবণ তৈয়ারী করিতে ও পারে। গবমেণ্টের নিষেধ আছে বলিয়াই তাহার এই অত্যাবশ্যক দ্রব্যটি তৈয়ারী করিতে পারিতেছে না । যে অপরিহার্য্য আহাৰ্য্যসামগ্ৰী তাহদের গৃহদ্বারে পাওয়া যায়, সেই দ্রব্যটার জন্য তাহাদিগকে ১০ হাজার মাইল দূরবত্তী চেশায়ার, লিভারপুল ও জন্মণীর উপর নির্ভর করিতে হয় । লোকেরা জানে যে বংশ-পরস্পরাক্রমে এদেশে লবণ তৈয়ারী হইতে এবং তাহাদিগকে লবণ তৈয়ারীর অধিকার হইতে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হইয়াছে । লবণ তৈয়ারী করিবার ন্যায়সঙ্গত অধিকার এদেশের লোকের আছে ; লোকে কোনও বিলাসদ্রব্য চাহিতেছে না ; তাহার: অপরিহাৰ্য্য আহাৰ্য্যসামগ্ৰী তৈয়ারী করিতে চাহিতেছে । সুতরাং সাধারণ লোকের ভিতর যে অসন্তোষের সঞ্চার হইয়াছে, ইহা বিস্ময়ের বিষয় নহে। সেই অসন্তোষই এইসকল লুঠতরাজের ভিতর আত্মপ্ৰকাশ করিয়াছে । এক্ষণে বাঙ্গালা দেশে বাত লবণ আবশ্যক। সে সমস্তই বিদেশ হইতে আমদানী হইয়া থাকে। ক্লাইভ ও হেষ্টিংসের নেতৃত্বে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী লবণ তৈয়ারীর একটি পদ্ধতির প্রবর্তন করিয়াছিলেন ; উহা ১৮৬২ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত প্ৰচলিত ছিল। এতদনুসারে লোকে কোম্পানীর কুঠিতে লবণ তৈয়ারী কিরিত এবং কোম্পানীর কুঠি হইতে সেই লবণ বিক্রয় হইত । বাঙ্গালা দেশের অধিবাসীরা বরাবরই নিজদের প্রয়োজনীয় লবণ নিজেরাই তৈয়ারী কিরিত । সুন্দরবন, কঁথি, ডায়মণ্ডহাবার মহকুমা,