পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o Roll-fifချွံချွံ ‘তিনি পরের গুণানুরাগী ছিলেন । বিদ্যালাভে উৎসাহ ভঁাহার ঐকান্তিক ছিল। তঁহার মনের ফুলবাগানে যে সব বসোরাই গোলাপ ফুটিয়াছিল, তার মধুর সৌরভ তাহার বাড়ীময় ভরিয়া আছে। তাহার মুখের সেই শান্ত হাসিটী এখনও সকলের মনে জাগিয়া আছে-সে হাসির সৌম্য বিকাশ তার চিরনিদ্রাচ্ছন্ন মুখেও সেদিন শ্মশানঘাটে প্ৰতিভাত দেখিয়াছিলাম। র্তাহার লাবণ্যপূর্ণ দেহের গঠন, লীলায়িত শ্মশ্র, কাঞ্চনলাঞ্ছন দেহদৌন্দৰ্য্য ও গম্ভীর ও উদার কণ্ঠধ্বনি বেহালার লোকে সহজে তুলিবে না। কিন্তু এই সবের পিছনে যে একটী অতন্দ্ৰিত ও নিরলস মন প্রচ্ছন্নভাবে নিরহঙ্কার হইয়া দেশসেবা করিয়া চলিত সে কথার সন্ধান কয় জনে জানিত ? তিনি বেহালাকে বেশী ভালবাসিতেন বলিয়া বেহালার নিকটস্থ অপর গ্রামবাসিগণের দুঃখ হইত। “র্তাহার প্রাসাদোপম পুরাতন ভবনে যখন বহু বর্ষ পূর্বে জেলা কনফারেন্স হয় তখন যুব সুরেন্দ্রনাথ গভর্ণমেণ্টের অপ্রতিভাজন হইয়াছিলেন । সে যুগে তিনি যে নিৰ্ভীকতা দেখাইয়াছিলেন, এ যুগে তাহা সুলভ নয় । গ্রামের সকল বড় কাজে তিনি গ্রামের মুকুটমণি ছিলেন । বেহালার পরিচয় ছিল – সুরেন রায় । এ কথা সুদূর্ব কাশ্মীরে গিয়াও সেখানকার বড় বড় রাজকৰ্ম্মচারীদের মুখে শুনিয়াছি, কারণ কাশ্মীরের স্বৰ্গীয় মহারাজাও র্তাহাকে বন্ধু বলিয়া জানিতেন । এই গ্রামের ভৌগোলিক সঙ্কীর্ণত, ভেদ করিয়া তিনি যে সকলের কাছে সাদর পরিচয় লাভ করিয়াছিলেন, তার কারণ র্তাহার ধনবৈভব নয় বা বংশগৌরব নয়। ইহার কারণ র্তার দেশপ্রীতি ও মানস-সম্পৎ ।” “শেষ জীবনে তিনি গভীর পরিবারিক শোকে ভগ্নমনা হইয়া পড়েন। মৃতদার হইয়া তার জাগতিক কোন কৰ্ম্মে আর উৎসাহ ছিল না। কোন পারিবারিক কথা তুলিলেই তার চোখ দুটি অশ্রুসজল হইয়া পড়িত। অনেকের মনের ক্ষত মিলাইয়া যায়, তঁাহার মনের ক্ষত