পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৪

R o o ቕKቕጫ-ዋዘf$5g | প্রবাহিত। গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী হইতে এই ংশের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। চৌধুরী বাবুদিগের বিস্তৃত জমিদারী ইহাদের দ্বারাই অর্জিত। গৌরসুন্দর দ্বারকানাথ ভ্ৰাতৃসৌহার্দ্য এতদঞ্চলে প্ৰবাদ বাক্যের ন্যায় প্ৰচলিত এবং তঁাহারা উভয়ে সহোদর ভ্ৰাতা বলিয়াই সাধারণের ধারণা । বৰ্ত্তমানে এরূপ ভ্ৰাতৃসৌহার্দ্য বিরল। গৌরসুন্দর ও দ্বারকানাথ সংস্কৃত, বাঙ্গালা ও পারসী ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। স্বৰ্গীয় সার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বহরমপুরে ওকালতি করিতেন, সেই সময় তাহার সহিত উভয় ভ্ৰাতার বিশেষ বন্ধুত্ব হইয়াছিল এবং মৃত্যুকাল পর্যন্ত তঁহাদের বন্ধুত্ব অক্ষুন্ন ছিল ; গৌরসুন্দর জীবনে অনেক শোক পাইয়াছিলেন, কিন্তু শোকে কখন অভিভূত হন নাই ; তঁাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ উপেন্দ্রনারায়ণ জন্মাবচ্ছিন্ন বিকৃতমনা ছিলেন ; দুই কন্যা প্ৰিয়সখী ও গোষ্ঠীসখী তাহার জীবদ্দশাতেই বিধবা হন । বাঙ্গালা ১২৯৬ সালের চৈত্ৰ মাসে গৌরসুন্দরের মৃত্যু হয়। তঁহার দ্বিতীয় পুত্র সুরেন্দ্রনারায়ণ একটী পুত্র ও এক-কন্যা রাখিয়া ১৩২০ সালের ভাদ্র মাসে মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে কাল-কবলিত হন । সুরেন্দ্ৰনারায়ণের নাবালক পুত্র রাধাগোবিন্দের অভিভাবকস্বরূপে দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মহেন্দ্রনারায়ণের এই বিস্তৃত জমিদারীর পরিচালনা করিতে থাকেন এবং মহাধুমধামে ১৩২৪ সালের ফাস্তুন মাসে রাধাগোবিন্দের ও নিজ পুত্ৰ প্ৰভাতকুমারের বিবাহ দিয়াছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৩২৫ সালের ৭ই বৈশাখ নাবালিকা পত্নীকে উত্তরাধিকারিণী রাখিয়া ২০ বৎসর বয়সে রাধাগোবিন্দ অকালে স্বৰ্গারোহণ করেন। সুরেন্দ্রনারায়ণের পত্নী এই দারুণ পুত্ৰশোক সই করিতেও পারিলেন না, ১৩২৫ সালের কাৰ্ত্তিক মাসে তিনিও স্বামী-পুত্রের অনুগাম?” ক্ষরিয়া সকল জ্বালা জুড়াইয়াছেন।