পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO 8 বংশ-পরিচয় পেশোয়ার পিতৃব্য রাঘব দাদাকে উৎকোচ দান করিয়া, বশীভূত করিলেন। রাঘব অহল্যার সহিত যুদ্ধ করিবার আয়োজন করিলেন। অহল্যাও এই সংবাদ পাইয়া সমর্যায়োজন করিলেন। অহল্যা স্বয়ং সৈন্যসমূহের নেতৃত্বভার গ্ৰহণ করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইলেন। তদৰ্শনে রাঘব দাদা ভীত হইয়া যুদ্ধ পরিত্যাগ করিলেন। বিনা শোণিতপাতে সমস্ত বিবাদের মীমাংসা। এইভাবে সমাপ্ত হইল। যুদ্ধান্তে অহল্যা তুকাজী হোলকার নামক মলহর রাওয়ের সম্পাকায় জনৈক বীরপুরুষকে আপনার সেনাপতি-পদে প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন। তিনি নিজে রাজ্ঞী হইয়া তপস্বিনীর ন্যায় কঠোর নিয়মে দিনপাত করিতেন, কাজেই সাম্রাজ্যের আকর্ষণ যে র্তাহার বেশী ছিল না, এ কথা বলাই বাহুল্য। একদিকে নারীসুলভ কোমলতা ও অপর দিকে পুরুষোচিত কাঠিন্য র্তাহার প্রকৃতিতে যেরূপ সুন্দরীরূপে সম্মিলিত দেখিতে পাওয়া যায় যে, অতি অল্প ঐতিহাসিক রাণীর মধ্যেই সেরূপ দৃষ্ট হইয়া থাকে। ভোগ-সুখের বা প্ৰভুত্ব প্ৰদৰ্শনের জন্য তিনি রাজ্যাভিলাষিণী ছিলেন না। তিনি তুকাজীর হস্তে রাজ্যের পুরুষোচিত কাৰ্য্যের ভার সমর্পণপূর্বক স্বয়ং নারীজনোচিত লঘুভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। অহল্যা তাহার সহায়তায় নিশ্চিন্ত হইয়া প্ৰজাপুঞ্জের কল্যাণসাধনে ও ধৰ্ম্মানুশীলনে নিযুক্ত থাকিতেন। অহল্যার মৃত্যুর পর তুকাজা মলহর রাওয়ের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন । তুকাজীর বংশধরগণই এক্ষণে ইন্দোরে রাজত্ব করিতেছেন। অহল্যার শ্বশুর। বাহুবলে হোলকার-বংশের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু অহল্যার জন্যই সে রাজ্যের আভ্যন্তরীণ উন্নতি ও শৃঙ্খলা সাধিত হইয়াছিল। তিনি রাজ্যের আয়-ব্যয় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিতেন, তাহারই সুব্যবস্থার গুণে সে সময়কার দেশীয় রাজ্যসমূহের মধ্যে হোলকার রাজ্য একটি প্ৰধান সমৃদ্ধিশালী রাজ্যে পরিণত হইয়াছিল। প্ৰজাগণের