পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्रुल दांत्रे SSS পড়িবে। ইহা স্থির করিয়া তিনি রাণীর প্রত্যাগমন-পথে-সারিবদ্ধ ভাবে মোগল সৈন্য মোতায়েন করিয়া রাখিলেন। গঙ্গাস্নানান্তে রাণী নববস্ত্ৰ পরিধান করিয়া যখন গৃহ-গমনের জন্য নদীতীরের অনতিদূরে রাজপথে উপস্থিত হইয়াছেন, তখন দেখিতে পাইলেন, সারি সারি, দলে দলে সশস্ত্র মুসলমান সৈন্য দণ্ডায়মান রহিয়াছে। দেখিলেন, তাহার সঙ্গে কোন রক্ষক নাই, পশ্চাতে নদীতীরে শুধু নিরস্ত্র নিরীহ হিন্দুযাত্ৰিদল । ক্ৰোধে, ঘূণায় একবার সহচরীদের প্রতি তাকাইলেন এবং আপন ভ্ৰম বুঝিতে পারিলেন । দেখিতে দেখিতে মুসলমান সৈন্যগণ র্তাহার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। রাণী ইহাতে একটুও ভীতা না হইয়া মুসলমান সৈন্যগণকে লক্ষ্য করিয়া তার স্বরে বলিলেন, “পরাজিত মুসলমান সেনাপতিকে ধিক ! মুসলমান সেনাদিগকে ধিক ! দিল্লীর অধীশ্বরকেও ধিক ! পরাজিত কাপুরুষের অধম, তাই নিরস্ত্ৰ স্ত্রীলোকের প্রতি অত্যাচার ভিন্ন পরাজয়ের প্রতিশোধ লইতে। অন্য উপায়ে অক্ষম। তোমরা আমার সম্মুখে দাড়াইয়া আছ, তোমরা সৈনিক, না ফেব্রুপাল ? যদি সৈনিক হইতে, তাহা হইলে আজ এইভাবে চোরের মত কুলনারীর অবমাননা করিতে অগ্রসর না হইয়া অৰ্গলের সৈন্যদের সহিত সন্মুখ যুদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইতে । আজ কি অৰ্গলের রাজবীরদের মধ্যে একটি বীরও এখানে উপস্থিত নাই ? যদি থাকিত, তাহা হইলে দেখিতে পাইতাম, কেমন করিয়া রাজপুতবীর একাকী তাহার রমণীর সন্মানরক্ষার জন্য সম্মুখযুদ্ধ করিয়া প্ৰাণ পরিত্যাগ করে।” এমন সময় রাণী পশ্চাৎ হইতে শুনিতে পাইলেন, একদল লোক চীৎকার করিয়া বলিতেছে, “রাণীজি কি জয় !” সঙ্গে সঙ্গে একদল তরুণ যুবক অস্ত্ৰ লইয়া সেই মুসলমান সেনার মধ্যে অবতীর্ণ হইল। তাহাদের অব্যৰ্থ অস্ত্র-চালনায় মুসলমান সৈন্য