পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী দুৰ্গাবতী এদেশের নারীকুল যেমন একদিকে অসুৰ্য্যাম্পশ্যারূপে অন্তঃপুরে আৰদ্ধ থাকিয়া ব্ৰত, পূজা প্ৰভৃতি হিন্দুমহিলোচিত ক্রিয়া-কৰ্ম্মে দেবী ভাব প্ৰস্ফুটিত করিতে পারেন, তেমনি স্বদেশের ও জন্মভূমির স্বাধীনতা · রক্ষার জন্য যে তঁাহারা ভীষণ সমর-ক্ষেত্রে যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইতে পারেন, তাহার জাজ্জল্যমান প্ৰমাণ রাণী দুৰ্গাবতী । খ্ৰীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর কথা। তখন সম্রাট আক কের দিল্লীর সিংহাসনে উপবিষ্ট । সে সময়ে মধ্যপ্রদেশে গড়মণ্ডল নামে একটি রাজ্য ছিল। রাজ্যটি ক্ষুদ্র হইলেও ইহার চতুর্দিকে সমুচ্চ পর্বতসমূহ থাকায় ইহা যেমন দুৰ্ভেদ্য তেমনই সহসা বহিঃশত্রুর নিকট অপরাজেয় ছিল । গড়মণ্ডলের অধিপতি দলপৎ সাহ বীরত্বে, শৌর্য্যে ও বীৰ্য্যে তখনকার দিনে অনেক ক্ষত্ৰিয়ের ভীতির পাত্র ছিলেন। র্তাহার অপূর্ব বীরত্বের কাহিনী শুনিয়া মহুবা রাজ্যের রাজকন্যা তৎপ্ৰতি আকৃষ্ট হন । বীর রমণী বীরপুরুষকেই ভালবাসে ; বীর যে সেও বীর রমণী প্রার্থনা করে । কোমল কঠোরকে চায়, আবার কঠোরও কোমলকে চায়। কিন্তু মহাবা রাজ্যের রাজার নিকট এই বিবাহের প্রস্তাব যাইলে তিনি ঘৃণাভরে তাহা প্ৰত্যাখ্যান করিলেন, যেহেতু দলপৎ সাহ তাহার অপেক্ষা নাকি ংশমৰ্য্যাদায় নিকৃষ্ট ছিলেন। রাজকুমারী দুৰ্গাবতী পিতার ঈদৃশ আদেশে যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইলেন । তিনি মনে মনে ভাবিলেন, সমাজের এ কি কঠোর অবিচার । মানুষের সৃষ্ট জাতিভেদের শৃঙ্খলে সমাজ এমনই ভাবে বাধা যে, কেহ কাহারও স্বাধীনতা প্ৰকাশ করিতে পরিবে না। তিনি প্ৰকাশ্যে সখীদের বলিলেন, “আমার পিতা যাহাই বলুন, আমি মনে মনে যখন একবার দলপৎকে স্বামিত্বে বরণ করিয়াছি,