পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVer বংশ-পরিচয় তাহার প্রাণের কাসিকে নির্মুক্ত করিতে পরিবেন, সেই, সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। ভগবান একদিন সে সুযোগও প্ৰদান করিলেন। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের অনল করাল ৰাদন বিস্তার করিয়া ব্রিটিশ শক্তিকে গ্ৰাস করিবার জন্য সমুৎসুক হইল। সেই প্ৰজ্বলিত অগ্নির লহ-লহ জিহুৱা বঙ্গদেশ হইতে সুদূর বুন্দোলখণ্ডে পৰ্য্যন্ত প্রসারিত হইল। লক্ষ্মীবাই এবার সুযোগ বুঝিয়া ব্রিটিশ শক্তিকে উপযুক্ত শিক্ষা দিবার জন্য নিজে রণরঙ্গিণী মূৰ্ত্তিতে অবতীর্ণ হইলেন। যে নারী এতদিন অন্তঃপুরের মধ্যে কুসুমকোমল কমনীয়া বলিয়া অবস্থিত ছিলেন, আজ সেই নারী কৰ্ত্তব্যের কঠোর আহবানে বাজ হইতেও কঠোরতর হইয়া প্ৰকাশ্য রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। ব্রিটিশ সেনাপতি স্যার হিউ রোজ বহু সৈন্য-সামন্ত, অশ্বারোহী, পদাতিক প্ৰভৃতি লইয়া লক্ষ্মীবাইয়ের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন ; কিন্তু দাড়াইলে কি হয় ? এই বীর রমণীর শক্তির নিকট কয়েক মাস যাবৎ তাহাদিগকে স্তম্ভিত হইয়া থাকিতে হইয়াছিল তার পর ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের ১৭ই জুন, গোয়ালিয়রের নিকট ইংরাজ সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিয়া লক্ষ্মীবাই ও তাহার ভগিনী যখন যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে প্ৰত্যাগমন করিতেছিলেন, তখন অকস্মাৎ ব্রিটিশ সৈন্য পশ্চাৎ দিক হইতে যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধাচরণ করিয়া তাহদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে, ফলে তাহদের জীবনলীলার অবসান হয় । তাহার সৈন্যগণ চিন্তানলে তাহার ও তাহার ভগিনীর দেহ ভস্মীভূত করে। রাণী লক্ষ্মীবাই যে শুধু একজন বীর রমণী ছিলেন, তাহা নহে। তিনি ধাৰ্ম্মিক এবং রাজনীতিকুশলাও ছিলেন। তঁহার স্বামীর যখন মৃত্যু হয়, তখন তাহার বয়স দ্বাবিংশতি কি ত্রয়োবিংশতি। এই বয়সেই তিনি দোর্দণ্ডপ্ৰতাপ ব্রিটীশ রাজের সহিত প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করিয়া