পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দময়ন্তী RN রহিলেন । দময়ন্তী মাল্য লইয়া সভামধ্যে আসিয়া দেবতাগণকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন, “আপনারা দয়া করিয়া আপন আপন রূপ পরিগ্ৰহ করুন, আমি নলের গলায় মাল্য দিব স্থির করিয়াছি।” দময়ন্তীর প্রার্থনায় দেবতারা আপনাআপন রূপ পরিগ্ৰহ করিলেন, তখন দময়ন্তী নলের গলায় মাল্য অৰ্পণ করিলেন । দময়ন্তীকে লইয়া নল পরম সুখে রাজ্য ভোগ করিতে লাগিলেন। ইন্দ্ৰসেন ও ইন্দ্ৰসেনা নামে তাহদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা হইল। একদিন নল তাহার দুষ্ট ভ্রাতা পুষ্করের সহিত অক্ষ-ক্রীড়ায় পরাজিত হইয়া সমস্ত রাজ্যধন হারাইলেন। নল এক বসনে রাজপুরী পরিত্যাগ করিয়া বনে চলিয়া গেলেন। দময়ন্তী বিপদ সম্মুখীন দেখিয়া ইতিপূর্বেই তাহার পুত্ৰকন্যাকে আপনি পিত্ৰালয়ে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন ; এখন স্বামীকে বনে যাইতে দেখিয়া তিনিও তাহার সঙ্গে চলিলেন । একদিন কতকগুলি সুন্দর পাখী ধরিয়া নল ক্ষুন্নিবৃত্তি করিবার জন্য পাখীগুলির উপর নিজের বসন ফেলিয়া দিলেন, পাখীগুলি সেই বসন লইয়া উড়িয়া গেল। স্বামীকে নগ্ন দেখিয়া দময়ন্তী নিজের কাপড়ের একখণ্ড ছিাড়িয়া স্বামীকে দিলেন। অতঃপর পথশ্রমে ক্লান্ত হইয়া তাহারা দুই জনে এক বৃক্ষতলে উপবেশন করিলেন। দময়ন্তী অত্যধিক পথশ্ৰান্তিহেতু ঘুমাইয়া পড়িলেন। নল ভাবিলেন, এখন যদি তিনি দময়ন্তীকে ফেলিয়া যান, তাহা হইলে নিশ্চয়ই দময়ন্তী জাগরিত হইয়া বিদৰ্ভরাজ্যে আপন পিত্ৰালয়ে চলিয়া যাইবে এবং দময়ন্তীর তাহা হইলে সকল যন্ত্রণা দূর হইবে। এই ভাবিয়া নল ধীরে ধীরে নিদ্রিতা দময়ন্তীকে ফেলিয়া চলিয়া গেলেন। দময়ন্তী জাগরিত হইয়া বনের চারিদিকে “কোথা প্ৰাণেশ্বর” বলিয়া খুজিতে লাগিলেন। এক স্থানে একটি বৃহৎ অজগর, দময়ন্তীকে গ্ৰাস করিতে উদ্যত হইল। দময়ন্তী BYDKBDB BDDDDBD BBBD DtBS DB BB gD DD KESS