পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 R t-sfbs পুষ্করিণীতে উপস্থিত হন। সায়-দুহিতা বেহুল স্নান করিবার সময় সন্তরণ করিতে থাকে, হঠাৎ তাহার পায়ের এক বিন্দু জল ব্ৰাহ্মণীর গাত্রে লাগে। ব্ৰাহ্মণী এইরূপ একটা ছুতাই খুজিতেছিলেন। তিনি বেহুলাকে অভিশাপ দিলেন যে, বিবাহের প্রথম রাত্ৰিতেই সে বিধবা হইবে এবং সৰ্পদংশনে তাহার স্বামীর প্রাণান্ত হইবে । চাদের পত্নী সনক কন্যার মুখে এই অভিশাপের কথা শুনিয়া স্বামীকে কত প্রকারে বুঝাইলেন যে, দেবতার সহিত কোন প্রকার বাদ-বিসম্বাদ করিতে নাই, করিলে নিজেদেরই অমঙ্গল হইবে। কিন্তু চাদ কোন মতেই সঙ্কল্পচু্যত হইলেন না। তবে যাহাতে মনসা লখিন্দরের কোন প্ৰকার অনিষ্ট করিতে না পারে, সেজন্য নিকটবৰ্ত্তী শতালী পৰ্ব্বতে পুত্রের জন্য এক লৌহ-নিৰ্ম্মিত গৃহ রচনা করিয়া দিলেন। বিবাহের পূর্বে বর-কন্যার বাসর নিৰ্ম্মিত হইল। মনসা দেখলেন-মহাবিপদ । লৌহ-নিৰ্ম্মিত গৃহে তিনি কেমন করিয়া প্ৰবেশ করিবেন ? তিনি গৃহ-নিৰ্ম্মাতা শিল্পী বিশ্বকৰ্ম্মাকে অনুরোধ করিলেন যেন বাসর-গৃহের দেওয়ালে একটি ছিদ্র করিয়া রাখা হয় । মনসা-দেবীর অনুরোধে বিশ্বকৰ্ম্ম তাহাই করিলেন। যথাসময়ে নিছনিগ্রামে বেহুলার সহিত লখিন্দরের বিবাহ হইয়া গেল। পুত্রবধু লইয়া মহাড়ম্বরে চাঁদ চাম্পাই নগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। ফুলশয্যার রাত্ৰিতে বরক’নেকে শাতালী পর্বতের লৌহময় গৃহে বাস করিবার জন্য পাঠান হইল। নববিবাহিত দম্পতী রজনীর প্রথম ভাগ মহানন্দে অতিবাহিত করিলেন। অতঃপর লখিন্দর ঘুমাইয়া পড়িলেন, কিন্তু বেহুলা ঘুমাইলেন না। তঁহার মনে ব্ৰাহ্মণীর সেই অভিশাপ তখনও জাগরুক রহিয়াছে। তিনি সারারাত্ৰি জাগিয়া স্বামীকে পাহারা দিতে লাগিলেন। এদিকে মনসাদেবী কত শত সৰ্পকে সেই লৌহগৃহে প্ৰবেশ করিবার জন্য পাঠাইলেন, ২।৩টি ব্যতীত আর কেহ সেই স্বল্প