পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুল ৷ 8. না, একথাও বলিলেন। তখন দেবগণের অনুরোধে মনসা দেবী” বেহুলাকে তাহার স্বামীর মৃত কঙ্কালগুলি আনিতে বলিলেন । বেহুলা সেগুলি লইয়া গেলেন। মনসা দেবীর অনুগ্রহে লখিন্দর পুনজীবিত হইয়া উঠিলেন। ক্ৰমে বেহুলার প্রার্থনায় লখিন্দরের অন্য ছয় ভ্ৰাতা পুনর্জীবন লাভ করিলেন এবং সেই জল-নিমগ্ন নৌকা সাতখানির উদ্ধার-সাধন হইল। বেহুলা সেই সাতখানি তরী, ছয়টি ভাসুর ও নিজ পতিকে লইয়া চম্পাইনগরে উপস্থিত হইলেন। শ্বশুর-শ্বাশুড়ী বহুকাল পরে মৃত পুত্রদিগকে দেখিয়া আনন্দে আত্মহারা হইলেন। চারিদিকে বেহুলার পাতিব্ৰত্যের জয়-জয়-ধ্বনি উখিত, হইল। আপামর-সাধারণ সকলেই বুবিল, এক মনে এক প্ৰাণে স্বামীর পদসেবা করিলে সে স্ত্রী মৃত স্বামীরও জীবন দান করিতে পারে। চাদসদাগর তদবধি আর কখনও মনসা দেবীর অবমাননা করিতেন না, নিত্য র্তাহার বাটীতে মহাড়ম্বরে মনসা দেবীর পূজা হইত। তিনি অবশিষ্ট জীবন সাত পুত্র, সাত বধু ও বহু পৌত্র-পৌত্রী লইয়া মহাসুখে, কালব্যাপন করিয়াছিলেন ।