পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S SR বংশ-পরিচয় । হয় যে, পশ্চিম মুর্শিদাবাদ অঙ্গ রাজ্যের অন্তৰ্গত ছিল। এই অঙ্গ বঙ্গ বিভাগের পর ভাগীরথীর পশ্চিম ও পূৰ্ব্বতীরবর্তী প্রদেশ গৌড় ও বঙ্গ নামে প্ৰসিদ্ধ হইয়া উঠে এবং গৌড় ও বঙ্গ উভয়ই সাধারণতঃ গৌড়দেশ নামে অভিহিত হইত। কিন্তু প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে গৌড় ও বঙ্গ দুইটী স্বতন্ত্র বিভাগ ছিল। শক্তিসঙ্গমতন্ত্রে সমুদ্র হইতে ব্ৰহ্মপুত্র পৰ্য্যন্ত বঙ্গে ও বঙ্গ হইতে ভুবনেশ্বর। পৰ্য্যন্ত গৌড়ের সীমা নির্দিষ্ট হইয়াছে। ইহাতে বুঝা যায় যে, গৌড় অনেক পরিমাণে প্ৰাচীন অঙ্গ ও পুণ্ডের স্থান অধিকার করিয়াছিল। বৰ্ত্তমান ভাগীরথী-প্রবাহ বঙ্গ ও গৌড়ের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইত। গৌড় ও বঙ্গ যে দুইটী পৃথক প্রদেশ তাহ পরবর্তী কোন কোন গ্ৰন্থ হইতে অবগত হওয়া যায়। বরাহমিহির বঙ্গ ও গৌড়কে দুইটী স্বতন্ত্র জনপদ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কবিকঙ্কণের রচনা হইতেও গৌড় ও বঙ্গের পার্থক্য বুঝা যায়। ভাগীরথীর পশ্চিমতীরে গৌড় প্রদেশ হইতে মুর্শিদাবাদের পশ্চিমভাগ গৌড়ের ও পূর্বভােগ বঙ্গের অন্তর্গত ছিল বলিয়া বোধ হয়। পশ্চিম মুর্শিদাবাদের রাঙ্গামাটীি কর্ণসুবর্ণ বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে; সুতরাং পশ্চিম মুর্শিদাবাদ যে, গৌড়দেশের কর্ণসুবর্ণ বিভাগের অন্তর্গত ছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই এবং পূর্ব মুর্শিদাবাদ যে সমতট বা বঙ্গের অন্তৰ্গত ছিল ইহাও অল্পায়াসে বুঝা যাইতেছে। গৌড় বঙ্গবিভাগের পর আমরা মিথিলা, রাঢ়, উপবঙ্গ, বা বাগড়ি বঙ্গ বরেন্দ্ৰ এই পাচ বিভাগের উল্লেখ দেখিতে পাই। এইরূপ শ্ৰত হওয়া যায় যে, বল্লাল সেন দেব বঙ্গ বা গৌড় রাজ্যকে এই পাঁচ ভাগে বিভক্ত করিয়াছিলেন। উক্ত পাচ ভাগের মধ্যে রাঢ় প্ৰদেশ অনেক পরিমাণে অঙ্গ বা গৌড়ের স্থান অধিকার করে এবং তাহা উত্তর রাঢ় দক্ষিণ রাঢ় নামে বিভক্ত হয়। ভাগীরথী, পদ্মা ও