পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিঘাপতিয়া-রাজবংশ। Stry নূতন ঠাকুরবাড়ী তিনি তৈয়ারী করাইয়া দেন। দিঘাপতিয়া, কলিকাতা এবং দাৰ্জিলিং সহরে তাহার যে সুসজ্জিত সুবৃহৎ বাটী এবং সেই সকল বাটীর সংলগ্ন যে উদ্যান ও শম্পাবৃত অঙ্গন আছে, সেগুলি দেখিলেই রাজা প্ৰমদানাথের রুচি ও সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ ও আসামের তদানীন্তন শাসনকৰ্ত্ত স্থ্যর ল্যান্সেলট হেয়ার তঁহার সহিত এক পংক্তিতে ভোজন করিয়া ভঁহাকে সম্মানিত করেন। দিঘাপতিয়ায় প্ৰথমবার ছোটলাটের আগমন-ব্যাপারকে স্মরণীয় করিবার জন্য স্যার ল্যান্সেলট হেয়ার প্রাসাদের সম্মুখে একটি বটবৃক্ষ রোপণ করিয়া যান। রাজা প্ৰমদানাথ রাজসাহী এসোসিয়েসনের প্রেসিডেণ্ট বা সভাপতি । বঙ্গবিভাগের আন্দোলনের পরে যে ভীষণ সময় উপস্থিত হয় সেই সময়ে তিনি নানা প্রকারে গবর্ণমেণ্টের সহায়তা করেন। রাজসাহী জেলায় বিপ্লব ও রাজবিদ্রোহ-দমন-ব্যাপারেও তিনি গবৰ্ণমেণ্টের সহযোগিতা করিয়া অচল-রাজভক্তির পরিচয় দিয়াছিলেন । সম্প্রসারিত ব্যবস্থাপক সভায় সর্বপ্রথম জমিদারগণ প্ৰতিনিধি নির্বাচনের অধিকার পাইলে, ১২০৯ খৃষ্টাব্দে তিনি পুৰ্ববঙ্গ ও আসামের জমিদারগণের প্রতিনিধিস্বরূপ ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নিৰ্বাচিত হন । ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশের পূর্বে তিনি রাজনীতিক আন্দোলনে যোগদান করেন নাই, তথাপি ব্যবস্থাপক সভার সদস্যের কৰ্ত্তব্য অতি উৎকৃষ্টরূপে সম্পাদনা করিয়া ছিলেন। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্যহিসাবে তিনি ১৯১১ খৃষ্টাব্দে তাহার সহযোগিগণের সহিত দিল্পী দরবারে সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর নিকটে উপস্থিত হইয়া আনুগত্য ও রাজভক্তি-জ্ঞাপনের অধিকার লাভ করিয়াছিলেন। এই সময়ে সম্রাটের সহিত পংক্তিভোজনের সম্মান তিনি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন।