পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাড়াজোল-রাজবংশ । Sህ”ዓ BBD DBBDDS DDD DBDBDD DBBB Bu DDD S tLtDD খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে রাজধানীতে উপনীত হইয়া নবাব দেখিলেন, মােহাঁটারা তাহার পূর্বেই আসিয়া সহ্যর লুণ্ঠন করিয়া চলিয়া গিয়াছে। ইহার পর মাৰ্হাট্টার হুগলী দখল করিল। তখন দ্বাদশমাসব্যাপী যুদ্ধে নবাবের সেনাদল শ্ৰান্ত-যুদ্ধে, পীড়ায়, দুর্ভিক্ষে তাহদের সংখ্যারও হ্রাস হইয়াছে। আবার বর্ষাকাল সমাগত ; এ অবস্থায় তাহাদিগকে ত করা অসম্ভব বুঝিয়া নবাব সুযোগ প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। মাৰ্হাট্টার এই অবসরে দেশের চারিদিকে অধিকার বিস্তার করিতে লাগিল। মেদিনীপুরের ফৌজদার মীর কালন্দর বহু চেষ্টার পর গড় রক্ষা করিলেন বটে ; কিন্তু মেদিনীপুরের অবশিষ্ট অংশ, এমন কি, গঙ্গার পশ্চিম সমগ্ৰ বঙ্গদেশ মার্হাট্টাদিগের করতলগত হইল। শেষে শরতের অবসানে দেশে গমনাগমন সুসাধ্য হইলে ১৭৪২ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে নবাব বহু সৈন্য লইয়া অগ্রসর হইলেন। তখন মাৰ্হাট্টারা তাহার আক্রমণে ত্ৰস্ত হইয়া পলায়ন করিল। মাৰ্হাট্টারা মেদিনীপুর প্রভৃতি যে সকল স্থান অধিকৃত করিয়াছিল, সে সকল পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইল। ভাস্কর পণ্ডিত পঞ্চকোটের মধ্য দিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তনকালে বন মধ্যে পথ হারাইলেন। তখন নাগপুরে প্রত্যাবৰ্ত্তন অসম্ভব বুঝিয়া তিনি স্বপক্ষাবলম্বী মীর হবিবের উপর সেনাচিালনভার দিয়া স্বয়ং গমন করিলেন । হবিব সেনাদলকে বিষ্ণুপুরের বনমধ্য দিয়া লইয়া চন্দ্ৰকোণার প্রান্তর পার হইয়া মেদিনীপুরের নিকট উপনীত হইলেন। কিন্তু আলিবর্দী তখনও তাহদের অনুসরণে নিবৃত্ত হয়েন নাই, মাৰ্হাট্টারা মেদিনীপুর ত্যাগ করিয়া উড়িষ্যায়। যাইয়া আশ্ৰয় লইল । ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে আলিবাদী মাৰ্হাট্টাদিগকে উড়িষ্যা হইতে বিতাড়িত