পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাড়া জোলি-রাজবংশ । \exo আলওয়াজিমাৎ” নামে পরিচিত সেই সব জায়গীর ব্যতীত আর সব জমীই ইংরাজ সরকারের খাস হইল। এ দিকে ১১৯১ বঙ্গাব্দে সীতারামের शुङ्गा श्ल। কথিত আছে-মহামায়া সন্তুষ্ট হইয়া ত্ৰিলোচনাকে স্বীয় পদাঙ্কযুক্ত একখানি বস্ত্ৰ দিয়াছিলেন ; বস্ত্ৰখানি অদ্যাপি নাড়া জোলি-রাজবংশের কুলদেবতার মন্দিরে রক্ষিত ও পূজিত হইতেছে। সেই দেবীপ্রসাদ সম্বল করিয়া সীতারামের পুত্র আনন্দলাল বিপদসাগর উত্তীর্ণ হইয়া ভাগ্যলক্ষ্মীর উদ্ধার-সাধনে বদ্ধপরিকর হইয়া কাৰ্য্যারম্ভ করিলেন । আনন্দলাল দেখিলেন, ইংরাজ সরকার যখন রাজস্ব বৃদ্ধি করিলেন, তখন বদ্ধিত রাজস্বে পৈত্রিক জমীদারী বন্দোবস্ত করিয়া লওয়া ব্যতীত উপায় নাই । তাই তিনি ১৩ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা ১০ আনা জমা স্বীকার করিয়া নাড়াজেল জমীদারী নূতন করিয়া বন্দোবস্ত লইলেন। । এ দিকে রাণী শিরোমণির দুর্দশার অন্ত রহিল না। বৃদ্ধি জমা দিতে অক্ষম হওয়ায় তাহার জমীদারী বাজেয়াপ্ত হইয়া গিয়াছিল। পূর্বেই বলিয়াছি, মেদিনীপুরের রাজার বহু সৈন্য রাখিতেন। সৈনিকেরা বেতন পাইত না-পাইকান জমী ভোগ করিত । ইংরাজ সরকার সেই সব জমী বাজেয়াপ্ত করিয়া লওয়ায় তাহারা জীবনোপায়হীন হইয়া দনু্যতস্করের মত চতুর্দিকে ভ্ৰমণ করিতে লাগিল। ক্রমে তাহারা চুয়াড়দলভুক্ত হইয়া চুয়াড়দিগের সঙ্গে গ্রাম ও নগর-লুণ্ঠনে প্ৰবৃত্ত হইল। দাসু্যদলের বৈশিষ্ট্যই এই যে, কোথাও এইরূপ একটি দল গঠিত হইলে চারিদিক হইতে দুৰ্ব্বত্তগণ আসিয়া সে দল পুষ্ট করে। ইংরাজ সৱকারের বিশ্বাস জন্মিল, বাজেয়াপ্ত জমীদারীর মালেক রাণী শিরোমণির প্ররোচনাতেই তাঁহার কৰ্ম্মচু্যত ও ভূমিভ্ৰষ্ট সৈনিকগণ এমন কাৰ্য্য করিাতেছে। ইংরাজ সরকার রাণীকে বন্দী করিবার জন্য একদল সৈন্য প্রেরণ RR