পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d R R ংশ পরিচয় । সুন্দরাও পুত্রের শিক্ষা বিষয়ে অমনোযোগী ছিলেন না, এবিষয়ে তাহার চেষ্টা ৰত্নের ক্ৰটী হয় নাই, কিন্তু একে একে সমস্ত কন্যাকে পাত্ৰস্থা করিয়া তিনি বধু দ্বারা সে অভাব পূরণে অভিলাষী হইলেন ।

  • রাজেন্দ্ৰ বাবুর মৃত্যুর পর হইতে সকলের সমবেত চেষ্টায় শাসন সংরক্ষণ এবং বার্ষিক ক্রিয়া কাৰ্য্য সমভাবেই চলিতেছে । দেবাৰ্চনাদি বার্ষিক ক্রিয়া এজমালীতে হয় ; কিন্তু এক এক বৎসর এক এক হিন্তারও তত্ত্বাবধানে থাকে। এই প্রকারে ভগবৎ কৃপায় কাজ কৰ্ম্ম সুশৃঙ্খল ভাবেই চলিয়া আসিতেছে ।

মহিম বাবু বড়ই সৌখীন লোক ছিলেন, তাহার যত কাৰ্য্য, তাহার মনোমত না হইলে পুনঃ সেই কৰ্ম্ম যথাযথভাবে না করিয়া ক্ষাস্ত থাকেন নাই । ১৩০৭ সালে তিনি একটী মনোরম্য সুন্দর চণ্ডীমণ্ডপ দালান প্ৰস্তুত করাইয় তাহাতে কাচদ্বারা নানা প্রকার কারুকাৰ্য্য করিয়া সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধির জন্য কলিকাতা হইতে নানা রঙ্গিন কাচ এবং উপযুক্ত রাজ মিস্ত্রী আনাইয়া যথা সময় মনোমত দালান প্ৰস্তুত কাৰ্য্য শেষ করিয়া অতি আনন্দে উৎসাহের সহিত দুর্গোৎসব পূজা করিলেন, তাহাতে মহামায়ার কৃপায় একটা উদ্বেগ শান্তি হুইল বটে, কিন্তু মহিম বাবুর আর একটা উদ্বেগ হৃদয়ে একাল যাবৎ পোবণ করিয়া আসিতেছেন, কি ভাবে কোন কাৰ্য্য দ্বারা তঁহার শাস্তি হইবে তাহাই সৰ্ব্বদা চিন্তা করেন । মহিম বাবু বড়ই মাতৃভক্ত ছিলেন, মায়ের বিনা অনুমতিক্রমে কখনও কোন কাৰ্য্য করেন না । বৃদ্ধ বুদ্ধিমতি মা পূত্রের আবদার রক্ষার্থে অনেক সময় এত ব্যগ্ৰ হইতেন যে, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না । একদিন মহিম বাবু বড়ই মৌনভাবে আহার করিতেছেন, মাতা কাছে বসিয়া মহিম বাবুর মুখ স্নান দেখিয়া বলিলেন “মহিমা! আজি তোমার চেহারা এত বিমর্ষ কেন ? আমি কখনই তোমার এমন ভাব দেখি