পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দ রািশর জমিদার বংশ । অনেক সময় এরূপ কৌতুকে ও শান্তিতে কাটাইতেছেন । একদা হঠাৎ বিসূচিকা বTশবামে ৮ বৎসর বয়সে কন্যাটীর অকাল মৃত্যু হওয়ায় সকলেই শোকে অধীর হইয়া পড়িলেন । এইরূপে অনেকদিন কাটিয়া গেল, রমেশবাবুর আর কোন সন্তান জন্মিল না দেখিয়া হঠাৎ জহুররোগে আক্রান্ত হইয়া ১৩২২ সনের মাঘ মাসে কামিনীসুন্দরী চৌধুরাণী মানবলীলা সম্বরণ করিলেন । রমেশবাবু যথাবিহিত মাতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপন অন্তে শ্ৰাদ্ধের চেষ্টায় প্ৰবৃত্ত হইয়া যথাসাধ্য যোগাড় করতঃ ত্রিরাত্রে মাতার তোরণ বৃষোৎস্বর্গ শ্ৰাদ্ধ করিলেন । এই শ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে স্থানীয় সর্বসাধারণ লোককে পরিতোষ রূপে পাকা ফলাহার ভোজন করাইয়া আগন্তক ব্ৰাহ্মণদিগকে ৫২ টাকা করিয়া প্ৰত্যেককে বিদায় করিয়াছিলেন । আগন্তুক ব্ৰাহ্মণ সংখ্যা পাঁচ শত পরিমাণ হইয়াছিল । রমেশবাবু ভগ্নিপতি কেদারবাবু ও অন্যান্য হিতৈষী ব্যক্তিগণের পরামর্শে ভালমন্দ বিচার করিয়া ষ্টেটের কাৰ্য্য পরিচালন করিতে লাগিলেন । রমেশবাবু, কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া স্বৰ্গীয় পিতামাতার পথ অনুসরণ করিয়া চলিতে লাগিলেন। পিতৃদেবের স্থাপিত ৬/শ্যামরায় বিগ্রহের নিত্যসেবা ও বার্ষিক ক্রিয়া কৰ্ম্ম পূৰ্ব্ব নিয়মানুসারে বিশেষ যত্নসহকারে চলিতে লাগিল। সংসারে অন্য কোনরূপ অশান্তি নাই, সুশৃঙ্খলভাবে ষ্টেটের কাৰ্য্য চলিতেছে । বাহিরে অন্য কোন অশান্তি নাই বটে, কিন্তু ভিতরে একটি গুরুতর অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি হইতেছে, রমেশবাবুর কন্যাটী মারা যাওয়ার পর অনেকদিন কাটিয়া গেল, আর কোন সন্তান হইতেছে না । এজন্য নানা রূপ দৈব ক্রিয়া করিয়া কোন ফল পান নাই । পরে ৬/কাশীধামের জনৈক শক্তিসম্পন্ন ব্ৰাহ্মণ দ্বারা ১৩২৫ সনে পুত্ৰেষ্টি যজ্ঞ ৬/রাম পূজা করিয়াছিলেন,ঐ কাৰ্য্য করিতে প্ৰায ১০ ০০০ দশ হাজার