পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So বংশ-পরিচয় । ছিলেন। “ভারতীমঙ্গল কাব্য” “রামায়ণ” “মনসা পাচালী” “ঢাকা বর্ণনা” প্ৰভৃতি খণ্ড কাব্য লিখিয়াছিলেন। তন্মধ্যে “রসমালা” ও “মনসা পাঁচালী” তাহার প্রপৌত্ৰ কমলকৃষ্ণ সিংহ কর্তৃক মুদ্রিত হইয়া প্রচারিত হইয়াছে। “ভারতীমঙ্গল কাব্য” মহারাজা কুমুদচন্দ্ৰ “সাহিত্য-সংহিতা’’ পত্রিকায় প্ৰকাশিত করিয়াছিলেন । ইহার সময় সর্বপ্রথম ভারত সরকার গারো পর্বত সহ সুসঙ্গ পরগণা ষোল আনায় ২৮৭০৩০/১২ গণ্ডায় দশশাল বন্দোবস্ত করিয়া লন । লর্ড ওয়ারেণ হেষ্টিংসের সময় হইতে ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক সুসঙ্গের মালীক রাজা উপাধি প্ৰাপ্ত হ’ন। এই স্থানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রমানাথের পুত্ৰ যাদবেন্দ্রকে রাজা রামনাথ কয়েকটী গ্ৰাম তালুক স্বরূপ প্ৰদান করেন। যাদবেন্দ্রের কন্যা এই সম্পত্তি পান এবং তঁহার দৌহিত্র হরিরাম ভাদুড়ী এই তালুক প্রাপ্ত হন। হরিরাম ভাদুড়ী হইতেই পূর্বধলার জমিদারগণের অভু্যদয় হয়। দশশালা বন্দোবস্তের সময় অনেক জমিদারের ভাগ্য-পরিবর্তন হইয়াছিল। সেই সময় তাহারা সুসঙ্গ পরগণার দুই আনীি অংশের দাবী করিয়া বন্দোবস্ত করিয়া লন। ভাদুড়ীগণ দুই আনা অংশের জমীদার হইয়া “সিংহ” উপাধি গ্ৰহণ করেন। তাঁহাদেরই বংশধর পূর্বধলা এবং ঘাগড়ার জমীদারগণ । রাজা রাজসিংহের পর হইতেই সুসঙ্গের ভাগ্যলক্ষ্মীশ্ৰী পরিবর্তন হইতে থাকে। রাজসিংহের মৃত্যুর পর বিশ্বনাথ, গোপীনাথ ও জগন্নাথ বৰ্ত্তমান থাকেন । বিশ্বনাথ মহাবলশালী সুপুরুষ ছিলেন। শরীরচর্চা বিষয়ে র্তাহার যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা ছিল। কিন্তু তীক্ষবুদ্ধি ও দূরদর্শিতায় এই পরিমাণ প্ৰতিষ্ঠা থাকিলে সুসঙ্গের বর্তমান ইতিহাস অন্য প্রকার হইয়া যাইত। তাহার সময়ে প্ৰধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন নারায়ণডহরের রামচরণ মজুমদার ।