পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So) S বংশ-পরিচয় সত্যনিষ্ঠ ছিলেন যে, “আদালতের আশ্রয় গ্ৰহণ করিলে মিথ্যা বলিতে হয়”, এই ধারণার বশীভুত হইয়া কখনও কোন জমি-জমার জন্য আদালতের আশ্রয় গ্ৰহণ করেন নাই। তাহার ফলে দেশের অনেকেই তঁহার বহু ভূসম্পত্তি আত্মসাৎ করিয়া ফেলে। তিনি এতই নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন যে, বাজার হইতে খাদ্যসম্ভার যাহা কিছু আনা হইত, তাহাতে তুলসীপত্রের জল অভিষিক্ত না করিয়া ঘরে লাইতে দিতেন না । তিনি জনসাধারণের অত্যন্ত ভক্তির পাত্র ছিলেন। তঁহাকে সকলেই “সেনঠাকুর” বলিয়া ডাকিত । গ্রামের দুষ্ট ছেলের দল তঁহাকে সময় সময় বিব্রত করিয়া তুলিত । ছেলেদের জন্য বাড়ীর বাহিরে যাওয়ার সাধ্য ছিল না ! কোনও বিশেষ কাৰ্য্যোপলক্ষ্যে কোথাও যাওয়ার জন্য তিথি-নক্ষত্ৰ-বারবেলা দেখিয়া যাত্ৰা করিয়া চলিতেন। কতদূর যাওয়ার পর হয়ত কোন এক দুষ্ট ছেলে তঁহাকে বলিল, “সেনঠাকুর মহাশয়” আপনি যে কাকের বিষ্ঠা ছুইয়াছেন। তাহা সত্য কি মিথ্যা বলা হইল তাহার বিচার না করিয়া আমনি বাড়ীর দিকে ফিরিতেন, বাড়ীর সন্মুখস্থিত পুকুরের জলে স্বতন্ত্র অবগাহন করিয়া শতাধিকবার নারায়ণ স্মরণ করতঃ গৃহে প্ৰবেশ করিতেন। তিনি কাহাকেও অবিশ্বাস করিতেন না ; তাহাঁর সহধৰ্ম্মিণী ছিলেন ৬/উদয়তারা দেবী, তাহার মধুর ব্যবহারে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলই মুগ্ধ ছিলেন । তিনি আদর্শ জননী ছিলেন । র্তাহাদের বাড়ীখানি শান্তিনিকেতন ছিল । ধৰ্ম্মপ্ৰাণ রামসুন্দর সেন ১৮৯২ শকাব্দের কাৰ্ত্তিক মাসে রাসপূর্ণিমা দিনে নশ্বর দেহ ত্যাগ করিয়া চিরশান্তিাধামে মহাপ্ৰস্থান করেন। তঁহার দুই পুত্র-ত্রিপুরা চরণ সেনশৰ্ম্মা ও শ্ৰীযুক্ত শ্যামাচরণ সেনশৰ্ম্ম কবিরত্ন। ত্রিপুরাচরণ সেনশৰ্ম্ম অত্যন্ত সরলপ্রকৃতি লোক ছিলেন, তিনি কবিরাজী করিতেন। কবিরাজী-ব্যবসায়-উপলক্ষ্যে ৩৫ বৎসর পূর্বে দুইবার রেঙ্গুণ প্ৰভৃতি স্থানে যাইয়া ব্যবসায় করেন। রেঙ্গুণ থাকা