পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bifa(QK GJYKONS-KR* VOS তন্ত্র ও পুরাণাদিতে দেখা যায়, অযোধ্যাধিপতি দশরথাত্মজ রামচন্দ্ৰ বনভ্রমণকালে সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত চন্দ্ৰনাথ-দর্শনে আগমন করিয়াছিলেন। মহর্ষি ভার্গব সাঁতাদেবার স্মানের জন্য এইস্থানে একটি কুণ্ড নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। সেই কুণ্ড এখনও বিদ্যমান আছে। কুণ্ডের নামানুসারে স্থানটীর নাম সীতাকুণ্ড হইয়াছে । চট্টগ্রাম যখন ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল তখন চন্দ্ৰনাথতার্থের প্রচার হয় । রাজমাল-পাঠে ইহার বিবরণ জানা যায় । তীর্থ-প্রচার-সম্বন্ধে একটা কিংবদন্তী আছে যে, প্ৰায় ৭০ ০ বৎসর পূর্বে সীতাকুণ্ডের একক্রোশ উত্তর-পশ্চিমে শিবপুর নামক গ্রামে জনৈক দরিদ্র রাজক বাস করিত। রাজকের একটি কামধেনু ছিল, প্ৰত্যহ গোচারণের জন্য রাজক ধেনু সহ পাহাড়ে যাইত, গাভীটিকে ছাড়িয়া দিয়া সে কাষ্ঠ সংগ্রহপূর্বক ধেনুসহ বাড়ী ফিরিত। একদিন গাভীটি গভীর বনে হারাইয়া যায়। চিরদিন হিন্দুরা গোকে প্ৰাণের সহিত ভালবাসে । সে গাভীটিকে না পাইয়া বিষম বিপদে পড়িল । অরক্ষণ-জনিত গো-পালনের জন্য কি করিতে হইবে তাহার জন্য ব্যাকুল চিত্তে বৰ্তমান সেবায়েত-বংশের পূর্ববৰ্ত্তকে ইহার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করাতে তিনি প্ৰায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা দেন। ব্ৰাহ্মণ যাহা বলিলেন সেই অনুসারে রাজক প্ৰায়শ্চিত্তের আয়োজন করিল। এই সময়ে এক কাঠুরিয়া সংবাদ দিল যে, পূর্বদিন সে এক পৰ্ব্বতোপরি গাভীটিকে নিজে দেখিয়াছে। এই সংবাদে রাজক গাভীর উদ্দেশে পৰ্বতপৰ্য্যটনকালে দেখিতে পাইল, গাভীটি পর্বতোপরি দাড়াইয়া আছে এবং স্তন হইতে ক্ষীরধারা প্রবাহিত হইয়া স্থানটিকে কৰ্দমাক্ত করিতেছে। বিশেষ কৌতুহলী হইয়া কারণানুসন্ধানে দেখিল, একটি সুন্দর প্রস্তরমূৰ্ত্তি । ইহা কোন দেবতা হইবে, এই ধারণা করিয়া সেবায়েত-বংশের পূর্ববৰ্ত্তী রাধাবল্লভকে