পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দর শীর জমিদার বংশ । t না হইলে এরূপ কাহারও অদৃষ্ট ঘটে না। কোন কারণে যদি এই মহামন্ত্র তোমার ভুল হইয়া যায়, তাহা হইলে তুমি ঘোর বিপদে পড়িবে। আমি শীঘ্রই এখান হইতে চলিয়া যাইতেছি, আমার থাকার কোন নির্দিষ্ট স্থান নাই, আমার সঙ্গে তোমার পুনরায় দেখা হওয়াও অসম্ভব। তবে তোমাকে একটী কথা বলিয়া যাইতেছি, তুমি কোন সময়ে কোন বিপদে পড়িলে আমাকে স্মরণ করিও, তাহা হইলে যে কোনভাবে প্ৰতিকারের উপায় হইবে । তোমাকে যে মন্ত্ৰ দিয়াছি, তুমি স্থিরভাবে মনে মনে স্মরণ করিতে থাক, আমি এখানে থাকিতে কোনরূপ ভুল হইলে পুনরায় বলিয়া দিব।” উদ্ধাব গুরুদেবের উপদেশানুসারে সেই স্থানে বসিয়া মন্ত্ৰটী মনে মনে একাগ্ৰচিত্তে স্মরণ করিতে লাগিলেন। এই ভাবে কিছুক্ষণ কাটিয়া গেলে সন্ন্যাসী বলিলেন “এখন এভাবে তোমার এখানে আর বসিয়া। থাকার প্রয়োজন নাই। এক্ষণে প্ৰণাম করিয়া বাসায় যাও, বেলা অধিক হইয়াছে, ঘরে যাইয়া আহারাদি করি।” উদ্ধব এই কথা শুনিয়া, শুরুদেবের চরণ প্ৰান্তে সেই টাকাটী রাখিয়া ভক্তিভাবে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিলেন, প্ৰণামান্তে আশীৰ্বাদী নিৰ্ম্মাল্য লইয়া যখন উদ্ধব দাড়াইলেন, তখন সন্ন্যাসী বলিলেন “এই নিৰ্ম্মাল্য একটী কবচ করিয়া দক্ষিণ হন্তে ধারণ করিও । সাবধানে কাপড়ে বঁাধিয়া রাখা ।” সেই মহাবস্তু উদ্ধব অতি সাবধানে কাপড়ে। বাধিয়া রাখিলেন। তখন সন্ন্যাসী উদ্ধবকে প্ৰসাদ স্বরূপ কিছু ফল মূল দিলেন। উদ্ধাব প্ৰসাদ লইয়া বাসায় ফিরিবেন। এমন সময় সন্ন্যাসী বলিলেন “উদ্ধব । এই টাকাটী কেন ?” উত্তরে উদ্ধান বলিলেন “গুরুদেব, আপনি দয়া করিয়া আমার এই পাপ দেহ পবিত্ৰ করিলেন, আমি সাধ্যহীন, তাই একটী টাকা দক্ষিণ স্বরূপ দিয়াছি, দয়া করিয়া গ্ৰহণ করিলে কৃতাৰ্থ হইব ।” সন্ন্যাসী ও বলিলেন “উদ্ধাব ! আমি গুরুদক্ষিণার লোভে কি মন্ত্র দান,