পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

po বংশ পরিচয় । অভিভূত হইলেন। রাত্ৰি প্ৰায় তিন প্ৰহরের সময় উদ্ধব এইরূপ ‘স্বপ্ন দেখিলেন “পিতার সহিত হাটে যাইবার সময় হঠাৎ নদীর অতল জলে তঁহাদের নৌকাখানি ডুবিয়া গেল, পিতাপুত্রে বহু কষ্টে হাবুডুবু খাইয়া কোন মতে সাতরাইয়া কুল পাইলেন।” অকস্মাৎ এই অভাবনীয় দুঃস্বপ্নে উদ্ধব বিছানায় বসিয়া গুরুদত্ত মূল মন্ত্র স্মরণ করিতে চেষ্টা করিলেন। উদ্ধাব বারংবার চেষ্টা করিলেন বটে, কিন্তু -মন্ত্ৰটী আর মনে হইল না। বহুক্ষণ বসিয়া চেষ্টা করা সত্বেও যখন মন্ত্ৰ মনে করিতে পারিলেন না, তখন উদ্ধবের মনে এক অসহ উদ্বেগ উপস্থিত হইল । রাত্ৰি প্ৰভাত হইলে উভয়ে শয্যাত্যাগ করিলেন । উদ্ধবের পিতা প্ৰাতঃকৃত্য সমাপন করিয়া দোকানে আসিয়া তাহার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিলেন । সে দিন সকালে তিনি কোন স্থানে বাহির হইলেন না । পিতা, উদ্ধবের রাত্রির ঘটনা কিছুই অবগত নহেন। তিনি অভ্যাসমত উদ্যম সহকারে কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন। উদ্ধব স্বপ্ন দেখা অবধি মন্ত্ৰটী ভুলিয়া বিষম চিন্তায় পড়িয়াছেন, তবে তঁহার মনে - একটু ভরসা আছে যে গুরুদেবের নিকট গেলে তিনি পুনরায় -মন্ত্র বলিয়া দিবেন। একটু বেলা হইলে উদ্ধাব তাহার পিতার নিকট বলিলেন “বাবা! আমি সন্ন্যাসী ঠাকুরকে দেখিয়া আসি।” পিতা শবলিলেন “আচ্ছা বাবা ! দেখে এসোগে৷ ” এই কথা বলিলে উদ্ধবচন্দ্ৰ বড় আশায় বুক বাধিয়া সন্ন্যাসীর নিকট চলিলেন। যেখান হইতে সেই বটমূল বেশ দৃষ্ট হয়, উদ্ধব সেই স্থানে যাইয়া বিশেষ লক্ষ্য করিয়া গাছের মুলে দৃষ্টি করিলেন, কিন্তু সন্ন্যাসীকে তথায় না দেখিয়া হতাশ হইয়া পড়িলেন, তখন উদ্ধব একবার মনে করিলেন, গুরুদেব হয়ত শৌচাদি হেতু কোথায় গিয়া থাকিবেন, কিংবা গাছের অপর দিকে গিয়া বসিয়াছেন । এইরূপ চিন্তা করিতে