পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** বংশ পরিচয় । সেই সময় ঐ সব দেশে লোকের বসতি বিরল ও অধিকাংশই ঘোরা, জঙ্গলাকীর্ণ ছিল ; ব্যাঘ্ৰ, মহিষ, শূকর, হরিণ প্রভৃতি বন্য জন্তুর উৎপাতে স্থানে স্থানে যে সকল ভূমি আবাদী ছিল তাহাও লোকে ভয়ে ছাড়িয়া যাইত। ঐ সমস্ত গড়াবাদী ভূমির অধিক স্থান গবৰ্ণমেণ্টের খাষমহাল ছিল। উদ্ধব নিজ নামে আমলনামা লইয়া গবৰ্ণমেণ্ট ও জমিদারদিগের নিকট হইতে অনুমতিক্রমে আবাদ করিতে আরম্ভ করিলেন ; ভূমি আবাদ করিতে পারিলে ১০ বৎসর পর আবাদী ভূমি প্রতি বিঘা।০৯ চারি। আনা নিরীখে খাজনা বন্দোবস্ত হইবে এই মৰ্ম্মেই আমলনামা’ লিখা হইয়াছিল। আমলনাম প্রাপ্ত হইয়া উদ্ধব। আবাদের জন্য লোক সংগ্রহে প্ৰবৃত্ত হইলেন। বিশেষ চেষ্ট করিয়া লোক সংগ্ৰহ করিলেন, বটে, কিন্তু কৃষকগণ বন্য পশুর ভয়ে আবাদ করিতে সাহস করে না প্ৰাণের আশা সকলেরই আছে, কে সাধ করিয়া বাঘের মুখে দাড়ায় । যদিও আবাদ করা যায়, তাহা মহিষ, শূকর, হরিণ প্ৰভৃতি বন্য পশুতো নষ্ট করিয়া দিবে। এই সমস্ত প্ৰস্তাব করিয়া সকল কৃষক উদ্ধব LSYY BD DBDDBD DDBD DDBB BBB BBDS SDBD বলিলেন “বাপু সকল, তোমরা কোন চিন্তা করিও না, পশু তাড়াইবার বিধান আমি নিজে করিব ; আমার সঙ্গে এস।” উদ্ধব। অসম্ভব একটা । কথা বলিলেও তাহার প্রতি কাহারও কোন প্ৰকার দ্বিধা বা সন্দেহ হইতে না । জলের কুম্ভীর ও জঙ্গলের বাঘ যে তঁহার কথা মানে তাহা ঐ অঞ্চলের প্রায় সকলেই অবগত আছে। উদ্ধব বহু কৃষক সঙ্গে করিয়া সেই গড়াবাদী জঙ্গল মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন, জঙ্গল মধ্যে প্ৰবেশ পূর্বক বহু স্থান পরিভ্রমণ করিয়া চারি কোণে চারিটী নিশান পুতিলেন এবং তািত্ৰন্থ ব্যাঘ্ৰ, মহিষ প্রভৃতি জন্তুগণকে বলিতে লাগিলেন “আমি ” এই জঙ্গলটুকু আবাদ করিব, তোমরা অন্য দিকে সরিয়া যাও, আমার কৃষক প্রভৃতি লোক জনের উপর তাহদের অর্জিত শস্তের,