হরিপুর বড় তরফ রায়চৌধুৱী-বংশ NA VON মনে করিতেন । তঁাহার নিতান্ত প্ৰিয় কাৰ্য্য ৭ তিনি মাতার আদেশ না লইয়া নিৰ্বাহ করিতেন না । বাঙ্গালা ১৩০৩ সালের ফান্তুন মাসে যোগেন্দ্রনারায়ণ হরিপুর-নিবাসী বিজ্ঞা-বিচক্ষণ এবং স্থানীয় স্কুলের সুপণ্ডিত হেড মাষ্টার বাবু বিপিনবিহারী কুণ্ডু মহাশয়ের সুন্দরী, সুশীলা ও সৰ্ব্বগুণবতী কন্যা শ্ৰীযুক্ত সুরবালার পাণিগ্রহণ করেন | যোগেন্দ্রনারায়ণ যেমন সৰ্ব্বগুণের আধার ছিলেন। তাহার সঙ্গ পশ্মিণীও তদ্রুপ ছিলেন । এই বৃদ্ধিমতী ও দয়াবতী সহধৰ্ম্মিণীর সাহচর্য্যে তঁাহার জীবন সুখময় হইয়াছিল। বিবাহের সময়ে যোগেন্দ্ৰনারায়ণের বয়স ছিল ১৭ বৎসর । বিবাহের পরে—১৩০, ১৭ সালে যোগেন্দ্ৰনারায়ণ জমিদারী-পরিচালনের ভার স্বহস্তে গ্ৰহণ করেন । এত অল্পবয়সে বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছিলেন, সুতরাং তঁাহার হস্তে বিপুল অর্থ নিপতিত হইয়াছিল, কিন্তু সেইজন্য কোনও দিন তাস্কার শাচরণে কোিচ অত্যমিক বা ধনগৰ্ব্বের লেশমাত্ৰ দেখিতে পায়। নাই বা ক্ষণকালের জন্য তিনি ধৰ্ম্ম স্পষ্টও হন নাই । তিনি ভগদ্বিশ্বাসী
- 守びに高 リマ*
حدسة V ও অনলস ছিলেন । শৈশব হইতেই তঁহার মনে ধৰ্ম্মভাব প্ৰবল ছিল । এইজন্য বিষয়কৰ্ম্মও তিনি ধৰ্ম্মভাবে প্রভাবিত হইয়া করিতেন এবং করতেন বলিয়াই কখনও তঁাহার বিষয়কৰ্ম্মে অধৰ্ম্মবুদ্ধি প্ৰবেশ করিতে পারে নাই ; তিনি সময়ের মূল্য বুঝিতেন ; সেইজন্য সকল কাজই নির্দিষ্ট সময়ে করিতেন। নিয়মানুবৰ্ত্তিতা ও সময়ানুবৰ্ত্তিতা-এই দুইটাই তঁাহার জীবনে সুস্পষ্ট হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল। তিনি প্রচুর ধনের অধীশ্বর ছিলেন ; ইচ্ছা করিলে ভোগবিলাসকেই জীবনে প্ৰাধান্য দিতে পারিতেন। কিন্তু বিলাস-ব্যাসন বা বাহা আড়ম্বরকে তিনি কখনই প্রশ্রয় দেন নাই । তিনি বিনয়ী, অমায়িকস্বভাব ও অকপট-চরিত্র ছিলেন । কৰ্ম্মক্ষেত্রেও তঁহার চরিত্রের এই ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মের সমন্বয়
