পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিপুর বড়তরফ রায়চৌধুৱী-বংশ Y \OC সততা ও সদ্ব্যবহারের জন্য তিনি সকলের প্রীতি-শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন । কাহাকেও কোনও কথা 'দয়া তিনি তাহা প্ৰত্যাহার করেন নাই । আত্মীয়, কুটুম্ব ও কৰ্ম্মচারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করিয়া গিয়াছেন । কোনও কৰ্ম্মচারী কোনও প্রপার বিপদে পড়িলে সকল রকমে সাহায্য করিয়া তিনি তাহাকে বিপদ হইতে উদ্ধার করিতেন। র্তাহার সততা ও সদ্ব্যবহারের খ্যাতি এতদূর ছিল যে, উচ্চপদস্থ সরকারী কৰ্ম্মচারীরা তাহাকে অত্যন্ত বিশ্বাস করিতেন ও তঁহার কথা অতীব মূল্যবান বলিয়া বিবেচনা করতেন। ইদানীং জমিদারদের মধ্যে এক বিদেশী ভাব আসিয়া স্থান পাইয়াছে । “প্ৰজারঞ্জক”। এই শব্দটী এখন অভিধানেই সন্নিপদ্ধ মাত্র । ইহার অর্থ ও কাৰ্য্য ক্রমেই লোপ পাইতে বসিয়াছে। বহু জমিদার নিজ নিজ প্ৰজাদিগকে চেনা ত দুরের কথা, আপনাদের আবাসভূমিরও বার্তা রাখেন না। অনেক প্ৰজা হয় ত জীবনে একবারও নিজ নিজ জমীদারদিগকে দেখিতে পান না ; জমিদারহস্তে আবেদন-নিবেদনপত্র পেশ করা দূরের কথা। যোগেন্দ্রনারায়ণ এই শ্রেণীর জমিদার ছিলেন না। নিজ নিজ গ্ৰাম্য বাসভূমি পরিত্যাগ করিয়া সহরের ঘোর আবিলতার মধ্যে বাস করাকে অত্যন্ত ঘুণার চক্ষে দেখিতেন । এইজন্য প্ৰজাগণের হৃদয় তিনি অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন । যোগেন্দ্ৰনারায়ণ তদীয় প্ৰজাগণের অত্যন্ত প্ৰিয় ছিলেন । প্ৰজাদের র্তাহার নিকট অবরিত-দ্বার ছিল। প্ৰজাপুঞ্জ র্তাহাকে তাহদের পিতার ন্যায় দেখিত ; তিনিও সহস্ৰ কাৰ্য্য ত্যাগ করিয়া সর্বাগ্রে তাহদেরই অভাব-অভিযোগ, আবেদননিবেদন স্বকৰ্ণে শুনিতেন এবং প্ৰাণপণে তাহদের অভাব-মোচনের চেষ্টা করিতেন। প্ৰজাগণ র্তাহার প্রতি এরূপ অনুরাগ ও শ্রদ্ধা পোষণ ङङ| ९3 न६:२३ ل প্রকৃত প্ৰজারঞ্জন প্ৰজাদের প্রীতি-শ্রদ্ধা