পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় গিরীশচন্দ্ৰ ঘোষ Տ ԳՔ) মিত্ৰ এণ্ড কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী স্বগীয় সুরেশচন্দ্ৰ মিত্রের একমাত্র পুত্ৰ বাবু নীলকমল মিত্রের জ্যেষ্ঠ কন্যাকে বিবাহ করেন। নীলকমল মিত্র মহাশয় অপুত্ৰক ছিলেন । এইজন্য র্তাহার দৌহিত্রগণ র্তাহার সম্পত্তির অধিকারী হন। দৌহিত্ৰগণের নাম—শ্ৰীযুক্ত অতুলচন্দ্র ঘোষ এবং শ্ৰীযুত প্ৰবোধচন্দ্ৰ চৌধুরী ও তাঁহার ভ্রাতা শ্ৰীযুক্ত প্ৰভাতচন্দ্ৰ চৌধুরী। এই অতুলচন্দ্র ঘোষ পূৰ্ণবাবুর একমাত্র পুত্র। অতুলচন্দ্ৰ এটণীশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া কলিকাতা হাইকোর্টের এটর্ণশ্রেণীভুক্ত হন এবং বহুকাল সাফল্যের সহিত এটণীর কাৰ্য্য - করেন। অতঃপর তিনি হাইকোটের এডভোকেট হন । আইন-ব্যবসায়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পিতামহ ও পিতার ষ্টেভেডোরের ব্যবসায়ও পরিচালনা করেন। পূৰ্ণচন্দ্ৰ চরিত্ৰবান, পরোপকারী এবং কৰ্ম্মকুশল ছিলেন। তিনি আমহাষ্ট ষ্ট্রীটে। “পূর্ণ লজ” নামে একটি বৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করেন। কাশীধামের মিশ্রপুরা পল্লীতে একটি বাসভবন তৈয়ারী করেন । ১৯১০ খ্ৰীষ্টাব্দে কাশীধামে পূর্ণচন্দ্রের মৃত্যু হয় ; মৃত্যুর পর তঁাহার শবদেহও মণিকর্ণিকা ঘাটের শ্মশানে সৎকার করা হয়। মৃত্যুকালে পূৰ্ণচন্দ্রের বয়স ৬০ বৎসর হইয়াছিল। গিরীশচন্দ্রের দ্বিতীয় পুত্রের নাম চারুচন্দ্র । তিনি একাউণ্ট্যান্টজেনারেল অব বেঙ্গলের অফিসে সহকারী ছিলেন । চারুচন্দ্ৰ তাহার পিতার জীবদ্দশায়ই ১৯০২ অথবা ১৯০৩ সালে পরলোক গমন করেন। চারুচন্দ্ৰ ইটলির রায় বাহাদুর কালীনাথ দে মহাশয়ের এক কন্যাকে বিবাহ করেন। তাহার দুই পুত্র ও এক কন্যা ; জ্যেষ্ঠ-হেমচন্দ্ৰ ও কনিষ্ঠ সতীশচন্দ্র ; কন্যাটার বিবাহ চারুচন্দ্ৰই দিয়া গিয়াছিলেন। চারুচন্দ্রের পত্নী স্বামীর মৃত্যুর পর কাশীধামে ভঁাহার শ্বশুর গিরীশচন্দ্রের বাটীতে অবস্থান করিতেছিলেন ; সেখানে গিরীশচন্দ্রের মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেই তাহার মৃত্যু হয়। গিরীশচন্দ্রের তৃতীয় পুত্র শরৎচন্দ্ৰ প্ৰথমে তাহার শ্বশুর-কলিকাতা