পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় গিরীশচন্দ্ৰ ঘোষ S স্কীম বা পরিকল্পনা রচনা করেন ; এই পরিকল্পনা-অনুসারে দেবোত্তর সম্পত্তির বর্তমান সেবাইত কুমার জিতেন্দ্ৰ মল্লিক ও কুমার দীনেন্দ্ৰ মল্লিক দেবোত্তর সম্পত্তির পরিচালনা করিতেছেন । তাহার প্ৰত্যহ প্ৰায় ১২০০ দরিদ্রনারায়ণকে জাতিবর্ণনিবিবশেষে অন্নদান করিয়া থাকেন। পরেশচন্দ্রের দুই বিবাহ। প্ৰথম স্ত্রীর গর্ভে র্তাহার এক পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম হয়। এই পুত্রের নাম শ্ৰীযুত বনবিহারী ঘোষ। ১৯২৪ ও ১৯২৬ সালে যথাক্রমে তাহার দুই কন্যার বিবাহ হইয়াছে। কন্যাদ্বয় সুযোগ্য পাত্রে ন্যস্ত হইয়াছেন । ১৯১৯ সালে প্ৰথমা পত্নীর মৃত্যু হয়। পরেশবাবুর দ্বিতীয়া পত্নীর গর্ভজাত পুত্রের নাম শ্ৰীমানা বিকাশচন্দ্ৰ ঘোষ। পরেশবাবুর বয়স এক্ষণে ৫৩ বৎসর। স্বৰ্গীয় গিরিশচন্দ্ৰ ঘোষের ৪নং ঘোষ লেন-স্থিত বাসভবন কলিকাতা ইমপ্ৰকৃভমেণ্ট ট্রাষ্ট কর্তৃক নীলামে বিক্রয়ের ব্যবস্থা হয়। সেই সময়ে পরেশবাবু এই বাটী নিলাম হইতে ক্ৰয় করিয়া লন। এদিকে আমহাষ্ট্য ষ্ট্রীটের “পূর্ণ লজ” নীলাম হইয়া যায়। স্বগীয় পূর্ণচন্দ্রের পৌত্র এবং বাবু অতুলচন্দ্ৰ ঘোষের দ্বিতীয় পুত্ৰ শ্ৰীযুত গোকুলচন্দ্ৰ ঘোষ সপরিবারে পরেশবাবুর এই সদ্য-ক্রীত বাটীতে ভাড়া দিয়া থাকেন। অতুলবাবুর মাতা শ্ৰীযুক্ত বিরাজমোহিনী দাসীও—যিনি স্বৰ্গীয় নীলকমল মিত্রের কন্যা ও স্বৰ্গীয় সুরেশচন্দ্ৰ মিত্রের ভগিনী, তাহার পুত্রের সহিত এই বাড়ীতে অবস্থান করিতেছিলেন । ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ৮১ বৎসর বয়সে এই বর্ষীয়সী মহিলার লোকান্তর-প্ৰাপ্তি ঘটিয়াছে। স্বৰ্গীয় গিরীশচন্দ্ৰ ঘোষের জীবদ্দশায় এবং তঁহার মৃত্যুর পর বিরাজমোহিনীই ঘোষ-পরিবারের অভিভাবিকা ছিলেন । গিরীশচন্দ্রের চতুর্থ পুত্রের নাম নরেশচন্দ্ৰ। নরেশবাবু ছোট আদালতের উকীল ছিলেন। নরেশবাবু চন্দননগরের স্বৰ্গীয় যোগেন্দ্ৰনাথ বসুর এক ভগিনীকে বিবাহ করেন । নরেশবাবু নিঃসন্তান ছিলেন । > R