পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ কমলাকান্ত হাজারী এমবি R o আপনি প্ৰকাশ করেন নাই কেন ? পিতা বলেন, দরিদ্রের ইচ্ছা মনের ভিতর উঠিয়া তখনই লয় প্রাপ্ত হয় । পুত্রের মনে পিতার এই আক্ষেপের কথা শেলের মত বিধিয়াছিল। পুত্ৰ শ্ৰীমান কমলাকান্ত হাজারী এক্ষণে কলিকাতার অন্যতম কৃতী চক্ষু চিকিৎসক। তিনি ব্যবসায়ে প্রচুর অর্থ লাভ করিয়াছেন, এইবার পিতৃ মনোরথ পূর্ণ করিয়া পরমার্থ লাভের পথ উন্মুক্ত করিলেন।” বাঙ্গালায় একটা প্ৰবচন আছে যে, “শিকারী বিড়ালের গোফ দেখিলেই চেনা যায়।” এই প্ৰবচনটা কমলাকান্ত বাবুর সম্বন্ধে প্ৰয়োগ করা চলে। বাল্যকালে পল্লীগ্রামে থাকাকালে, সমবয়স্ক কোন বালকই দৌড়ান, মৎস্য শিকার, বৃক্ষারোহণ প্ৰভৃতি ও বালকোচিত অন্যান্য ক্রীড়ায় তাহার সমকক্ষ হইত না । তাহদের পল্লীভবনে নিত্য সতরঞ্চ ( দাবা ), অক্ষ ( পাশা ) প্ৰভৃতি ক্রীড়ার অনুষ্ঠান হইত। ক্রীড়ামোদীগণ যখন ক্রীড়ায় ব্যস্ত, সে সময় বালক কমলাকান্ত র্তাহাদের ক্রীড়া পৰ্য্যালোচনা করিতেন । এইরূপে সপ্তম বৎসর বয়সেই তিনি এই সকল জটিল ক্রীড়া সম্পূর্ণ আয়ত্ত করিয়াছিলেন । এমন কি তাহার ক্রীড়ায় বহু বৃদ্ধ ধীর মস্তিষ্ক ক্রীড়কও বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইতেন । ইনি অতি অল্প বয়সী। হইতেই নানারূপ দ্রব্য প্ৰস্তুত ও ব্যবসায় করিয়াছেন । বিদ্যালয়ে পাঠ্যাবস্থায় ইনি “কমলা কোল ডিপো” নাম দিয়া নয়নচাদ দত্ত ষ্ট্রটে একটা কয়লার দোকান খুলেন । এই সময় তিনি পিতাকে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য করিতেন। পরে চিকিৎসা-শাস্ত্ৰ অধ্যয়নকালে পাঠের সুবিধা :ওয়ায় উক্ত দোকান উঠাইয়া দিতে বাধ্য হন। তিনি চির কালই কৰ্ম্মে নিরলস। এই নিরলস তাই তাহার প্রতি কাৰ্য্যে সাফল্যের কারণ । এই জন্যই স্কটিসচার্চ কলেজের অধ্যাপক ও প্ৰসিদ্ধ ইতিহাস প্ৰণেতা অধরচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়, প্ৰসিদ্ধ চিকিৎসক প্রমথনাথ নন্দী, প্ৰসিদ্ধ অস্ত্রবিদ্যাবিশারদ ডাক্তার মৃগেন্দ্রনাথ মিত্র, প্ৰসিদ্ধ ধাত্রীবিদ্যা-পারদর্শী