পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালি-সমাজ ঘোষ-বংশ R ( চাকুরির সহজ পথ অবলম্বন করিয়া পরম নিব্বিবাদে ও নিশ্চিন্তে জীবন ঘাপন করাই ধীরেশবাবু একান্ত কাম্য বলিয়া মনে করেন নাই। তিনি অনিশ্চিতের পথেই কৰ্ম্মজীবনের সুদূর যাত্রা আরম্ভ করিলেন। মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর ছেলে চাকুরীর নির্দিষ্ট আয় ও সহজ পথ না ধরিয়া দুৰ্ব্বার ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার পথ বাছিয়া লইল দেখিয়া তখন অনেকেই বিজ্ঞজনোচিত মস্তক আন্দোলন করিয়াছিলেন। কিন্তু ধীরেশবাবু তাহার স্বাভাবিক সাহস ও উচ্চাকাজক্ষা লইয়া কণ্টকাকীর্ণ ও বিত্নবহুল ব্যবসাদারীর পথই গ্ৰহণ করিলেন। ১৯০৪-৫ খৃষ্টাব্দে ধীরেশবাবু সামান্য মূলধন লইয়া চুচুড়ার স্বৰ্গীয় পুলিনবিহারী মণ্ডলের সহিত একযোগে ঘোষ মণ্ডল কোম্পানী নামে সোয়ালে লেনে একটি সামান্য কাচের দোকানের পত্তন করেন । কলিকাতার কাচ-ব্যবসায়ীগণের মধ্যে ইহারাই প্রথম উচ্চ শিক্ষা লাভ করিয়া এই ব্যবসা গ্ৰহণ করেন। অল্পকালের মধ্যেই এই ব্যবসায় খুব উন্নতি হইতে থাকে এবং শীঘ্রই ঘোষ মণ্ডল কোম্পানী ভারতের বিভিন্ন রেলওয়ে ও গবৰ্ণমেণ্টের কণ্টক্ট পাইতে লাগিলেন । এই সময় ইহাদের ব্যবসা অসন্তবরূপে বাড়িয়া স্বাওয়ায় ইহারা ইউরোপ হইতে কাচ আমদানী করিতে আরম্ভ কয়িলেন। সততা ও কাৰ্য্যদক্ষতার জন্য ব্যবসায়ী-মহলে ধীরেশবাবু এরূপ সুনাম "অৰ্জন করেন যে, তিনি কলিকাতার যাবতীয় রেলওয়ে ও ভারতীয় ষ্টোরস বিভাগের বড়কর্তাদের নিকট বিশেষ পরিচিত হইয়া পড়েন। এমনও অনেক সময় গিয়াছে। যখন ভারপ্রাপ্ত প্ৰধান কৰ্ম্মচারীগণ স্বেচ্ছায় ডাকিয়া ধীরেশবাবুকে বড় বড় অর্ডার দিয়াছেন। ১৯৩২ সালের নভেম্বর মাস হইতে ধীরেশবাবু তাহার। পূৰ্ব্ব অংশীদার হইতে ব্যবসা পৃথক করিয়া অধুনা “কলিকাতা গ্লাস ষ্টোরিস” নামে ৩ নং রয়েল এক্সচেঞ্জ প্লেসে নিজ ব্যবসা পূর্ণোদ্যমে চালাইতে আরম্ভ করেন। এখন এই ব্যবসা বিপুল আকার ধারণ করিয়াছে এবং বহু বাঙ্গালীর অন্নবস্ত্রের সংস্থান করিতেছে ;