পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক যাদবচন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী এম-এ ܘ ভগিনীর বিবাহ তাহার মাতাই দিয়াছিলেন, কিন্তু মাতার স্বৰ্গারোহণের পরে যাদবচন্দ্ৰই চেষ্টা করিয়া। কনিষ্ঠ ভগিনীর বিবাহ দেন। অতঃপর তিনি মধ্যম ভ্ৰাতা মুকুন্দচন্দ্র ও কনিষ্ঠ ভ্রাতা বনমালীকে বি-এ পড়াইতে থাকেন এবং এই সময়েই মাণিকগঞ্জ মহকুমার অন্তঃৰ্গত মাইজখাড়া গ্রাম নিবাসী মহেন্দ্ৰ নারায়ণ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের কন্যা নলিনীবালা দেবীর সহিত মুকুন্দ চন্দ্রের বিবাহ কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন। ইহার দুই মাস পরেই তিনি কনিষ্ঠ ভ্ৰাত। বনমালীর সহিত সেরপুরের জমিদার বংশীয় স্বৰ্গীয় গিরীশ নারামণ মুন্সী মহাশয়ের কন্যা রাধাবিনোদিনী দেবীর বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। ভ্ৰাতাদের পড়াশোনা, বিবাহ এবং পববৰ্ত্তী কালে উভয় ভ্রাতার কঠিন রোগের চিকিৎসা, বায়ু পরিবর্তন প্ৰভৃতির সকল ব্যয় যাদবচন্দ্ৰ একাই বহন করিয়াছিলেন। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ তাহার দুইটি ভ্ৰাতাই অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। ইহারা খুব প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন, জীবিত থাকিলে কৃতী হইতে পারিতেন। আশা হয়। কনিষ্ঠের মৃত্যুর কিছুদিন পূব্বে জানা যায় যে তিনি বৃত্তি লইয়া বি-এ পাশ করিয়াছেন, মধ্যম ভ্ৰাত, আইন পড়িবার সময়ে কালগ্ৰাসে পতিত হন । ইহার একমাত্ৰ কন্য; কুসুম সুষমা দেবীকে যাদবচন্দ্র ঢাকার খ্যাতনামা উকীল ৬/আনন্দ চন্দ্র রায় মহাশয়ের পুত্রের সহিত বিবাহ দেন। সিটি কলেজে যাদবচন্দ্রের কার্য্যকাল ছয় বৎসর হইয়া গেলে ১৮৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দে সার সৈয়দ আহমদ খা বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় যোগদান করিবার জন্য কলিকাতায় আসেন। তিনি আলিগড়ের ‘এম-এ-ও" কলেজের গণিতের অধ্যাপকের জন্য ‘ষ্টেটসম্যান' পত্রে বিজ্ঞাপন দিয়াছিলেন ; তদনুসারে যাদবচন্দ্ৰ ঐ পদের জন্য দরখাস্ত করেন। অতঃপব সার সৈয়দ আহমদ তাহাকে ডাকিয়া পাঠান এবং উভয়ের মধ্যে অনেকক্ষণ উদ্দ ভাষায় নানারূপ আলাপ হয়। ঐ সময়ে বিদ্যাসাগর কলেজের