পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

у у о e-fabs, গঙ্গাতীরে কয় দিবস ধরিয়া গান বাজনা, নাম সঙ্কীৰ্ত্তন এবং দুই বেলা রীতিমত ভোজের ব্যাপার। চলিত। দীননাথ তঁহার মাতাঠাকুরাণীর বৃষোৎসর্গ শ্ৰাদ্ধ করেন এবং ঐ শ্রাদ্ধের দিন এক অভিনব ব্যাপার সংঘটিত হয়। নীলাম্বর দত্ত ( হাটখোলা ) এবং রাধিকাচরণ মিত্ৰ ( দীননাথের ভাগিনেয় )। তখন কলিকাতা বেঙ্গল ব্যাঙ্কের সহকারী ও নায়েব দেওয়ান ছিলেন । ইহাদের নিকট ক্যাসের চাবি থাকিত । ইহারা ঐ শ্ৰাদ্ধ বাসরে এরূপ মজগুল হইয়াছিলেন যে অফিসের কথা তাহদের একেবারেই মনে হয় নাই । আন্দাজ বোলা এগারটার পর ব্যাঙ্কের সাহেব আসিয়া নীলাম্বর বাবুকে লইয়া গিয়া ব্যাঙ্কের ক্যাস খোলা হয় ; রাধিকাচরণের আর সে দিবস অফিস যাইবার ক্ষমতা ছিল না । দীননাথের জ্যেষ্ঠ সহোদর শ্ৰীনাথের বাল্যাবস্থায় কুলকৰ্ম্ম করা হয় এবং অল্পকাল মধ্যেই ভ্ৰাতা ও ভ্ৰাতৃবধু অকালে কালগ্ৰাসে পতিত হন । দীননাথ জনাই বাক্সা নিবাসী ( বাক্সা চৌধুরী বাটী) ৬/গঙ্গানারায়ণ চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করেন এবং স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা রাখিয়া তাহাদের পুত্ৰ কন্যাদিতে পরিবেষ্টিত হইয়া ৮২ বৎসর বয়সে নিজ কলিকাতাস্থ বাটীতে মানবলীলা সম্বরণ করেন । তুলসীচরণের জননী অতি নিরীহ প্ৰকৃতির মানুষ ছিলেন । র্তাহার সরল প্ৰকৃতি ও অমায়িকতার গুণে পল্লীস্থ অধিকাংশ পুরমহিলাগণ মধ্যাহে তাহার বাটীতে আসিয়া তাহার সহিত গল্পগুজবে সময় অতিবাহিত করিাতেন। তিনি আপদ-বিপদে আহার নিদ্রা ত্যাগ করিয়া সাহায্য করি।-- তেন, তখন তঁাহার বাটীর কথা মনে থাকিত না । তিনি কতিপয় অনাথ বিধবাকে যৎসামান্যভাবে মাসিক সাহায্য করিতেন এবং ইহা তিনি এত গোপনভাবে করিতেন যে, তাহার মৃত্যুর পূর্ব মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত বাটীর লোকেও কেহ জানিতে পারেন নাই। তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর মাত্র দেড় বৎসর জীবিত থাকিয়া স্বৰ্গারোহণ করেন ।