পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাটাল—জলসরার বিশ্বাস বংশ মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সাবডিভিসনের অন্তঃপাতী “জলসরারাধানগর” একটি গণ্ডগ্ৰাম হইলেও ধীবর সমাজের নিকট। ইহার সম্মান যথেষ্ট । এই গ্রামেই উক্ত সমাজের ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ “বকুলতলা”। অবস্তিত। “বকুলতলা কি” ? সাধারণের এ কৌতুহল চরিতার্থকরিবার জন্য বলা আবশ্যক যে, ইহা একটি প্রাচীন প্ৰকাণ্ড বকুল বৃক্ষ সমন্বিত প্ৰশস্ত প্ৰান্তর। ইহার সম্মুখে গ্রামবাসিগণ প্রতিষ্ঠিত শীতলা দেবীর পাক৷ মন্দির ও নাটমন্দির এবং চতুস্পার্শ্বে বহু সন্ত্রান্ত ধীবর গৃহস্থের বাস। বকুল বৃক্ষটির বিশেষত্ব এই লে ইহার প্রত্যেক শাখা প্ৰশাখা সৰ্পের ন্যায় কুণ্ডলীকৃত। যখন দেবী-মন্দিরে সন্ধ্যারতির শঙ্খ ঘণ্টা বাজিয়া উঠে তখন পুরবধূগণ সশ্রদ্ধ আগ্ৰহে এই বৃক্ষতলে প্ৰদীপ দিয়া নিজেকে ধন্য জ্ঞান করেন। বৃক্ষটি কতদিনের পুরাতন তাহ! এখন নির্ণয় করা যেমন, কঠিন, তেমনি কোন সুদূর অতীতে ধীবর সমাজের কোন মহানুভব সমাজপতি এই প্ৰকৃতির বিচিত্ৰ শোভাশালী অনন্যসাধারণ বৃক্ষতলটাকে তাহাদের সামাজিক মহাসভার বৈঠকের উপযুক্ত স্থান বলিয়া নিৰ্দেশ করিয়াছিলেন তাহাও জানিবার আশা সুদূর-পরাহত। যাহা হউক, জাতীয় বৈঠকেব। মহাপীঠ হিসাবে এই স্থানটি বহুদিন হইতে এই সমাজের নিকট পূজিত এবং ধীবর জাতির ইতিহাসের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধবদ্ধ। কতবার এই সমাজের মঙ্গলকামী নেতৃগণ কত দূর দূরান্তর হইতে এই প্রশস্ত প্ৰান্তরে সমবেত হইয়াছেন-সমাজের ইষ্টসাধন উদ্দেশ্যে র্তাহাদের তুমুল আন্দোলনে এই প্ৰান্তর মুখর জন-সমুদ্রে পরিণত হইয়াছো-কত