পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0 বংশ-পরিচয় বঙ্গের ভূতপূর্ণ গভর্ণর লর্ড রোনাল্ডসে (বর্তমানে ভারতসচিব মাকুইস অব জেটুল্যাণ্ড ) এসোসিয়েটেড চেম্বার অব কমাস অব ইণ্ডিয়া এণ্ড সিলোন সভায় বক্ততাকালে তাহার কাৰ্য্যের যে ভূয়সী প্ৰশংসা করিয়াছিলেন, তাহা ১৯২২ খৃষ্টাব্দের ৩১শে মে তারিখের ষ্টেটসম্যান পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। উহার বঙ্গানুবাদ নিম্নে প্ৰদত্ত হইল,-“সৌভাগ্য ৭ ক্ৰমে দেশে এমন কয়েকজন লোক আছেন, র্যাহারা শ্রমিক আন্দোলনে বিশেষ যত্ন লাইতেছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শ্রমিকদিগকে টানিয়া লাইবার বিরুদ্ধে দৃঢ়পদে দণ্ডায়মান হইয়াছেন। বাঙ্গালা দেশের ব্যবস্থাপক সভায় এইরূপ একজন শ্রমিক প্ৰতিনিধিকে পাইয়া আমরা নিজদিগকে ভাগ্যবান মনে করিতেছি । সেই প্ৰতিনিধি শ্রমিকদের জন্য প্ৰাণপণে কাজ করিতেছেন। গত বৎসর শ্রমিকদের জন্য মিঃ কে. সি, রায় চৌধুরী যে কাজ করিয়াছেন, তাহা পৰ্য্যালোচনা করিবার আমার অবসর হইয়াছিল । আমি তাহার ও তাহার সহযোগীদের কাজ দেখিয়া বিশেষ সস্তুষ্ট হইয়াছি।” ১৯২৩ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে মিঃ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল প্ৰতিনিধি ট্রামওয়ে ধৰ্ম্মঘট সম্বন্ধে লর্ড লিটনের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন । ১৯২৩ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে তিনি কাকিনাড়া বঙ্গীয় শ্রমিক কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন । উহাই বাঙ্গাল দেশে সৰ্ব্বপ্রথম শ্রমিক সম্মেলন । সেই সম্মেলনে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শ্ৰীযুত সুভাষচন্দ্ৰ বসু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ যোগদান করিয়াছিলেন । ১৯২২ খ্ৰীষ্টাব্দে পাঞ্জাব মেল দুর্ঘটনায় যে সমস্ত রেলওয়ে কৰ্ম্মচারী নিহত হয়, সেই সমস্ত কৰ্ম্মচারীদের বিধবা পত্নী ও শিশু সন্তানদিগকে সাহায্য করিবার জন্য যে কমিটী গঠিত হয়, তিনি সেই কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯২২ খ্ৰীষ্টাব্দে বাঙ্গালার প্ৰমোদকর বিলের আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটীতে তিনি সদস্য ছিলেন। সিমলায় শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বিল সম্বন্ধে আলোচনার জন্য