পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR বংশ-পরিচয় মিললে কিছু হয় কি না”। শুভক্ষণে এই কথা উচ্চারিত হইয়াছিল এবং তদপেক্ষা শুভ মুহুর্তে শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ পুত্ৰকে পুরুষসিংহ ফকির চাদের হস্তে দিয়াছিলেন—তাই মাতুল ও ভাগিনেয় মিলিত হইয়া ব্যবসায়ে যে উন্নতি সাধন করিয়াছেন তাহ। বাংলার মৎস্তব্যবসায়ীর ইতিহাসে চিরদিন সুবৰ্ণ অক্ষরে লেখা থাকিবে । উভয়ের সম্মিলিত শক্তি নিয়োজিত হওয়ায় অল্পকাল মধ্যে ইহাদের ব্যবসায় ক্ষেত্রের পরিসর বঙ্গদেশ অতিক্রম করিয়া সারা ভারতবর্ষে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল। বিপুল অর্থের সহিত প্ৰভূত যশ ইহাদের উপর বর্ষিত হইতে লাগিল। মহামান্য সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারতবর্ষে আগমন উপলক্ষে যখন দিল্লীতে দরবার অনুষ্ঠিত হয়, তখন কলিকাতা হইতে সুদূর দিল্লীতে এই গোষ্ঠ বিহারীর নিকট হইতে মৎস্ত লইয়া গিয়া রাজ-অতিথির সেবা ও সমাগত রাজন্যগণের তৃপ্তি সাধন করা: হয় ; ইহা কম গৌরবের কথা নয়। বহু ভাইসরয় ও বিভিন্ন প্রদেশের গভর্ণর বাহাদুরগণ rei (5 ft (35 °ia (Warrent of appointinn cnt) দ্বারা সন্মানিত করিয়াছেন। বাস্তবিক ইতাদের অফিস কক্ষে বিলম্বিত সেই সকল পত্রগুলি দেখিলে বাঙ্গালী মাত্রেরই হৃদয় আনন্দে ভরিয়া উঠে যে একজন বাঙ্গালী মৎস্যজীবী ব্যবসায় ক্ষেত্রে এতাদৃশ সম্মান লাভে সমর্থ হইয়াছেন। ফকির চাদ ও গোষ্ঠ বিহারীর সম্মিলনের ফলে কেবল ষে বাঙ্গালীর মৎস্য ব্যবসায়ের উন্নতি সাধিত হয় তাহা নয়, মৎস্যজীবী সমাজের বিভিন্নরূপ শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কলিকাতার জন সাধারণের—তথ। সমগ্ৰ বঙ্গবাসীর চিরাকাঙ্খিত, শিক্ষাপ্ৰদ, আনন্দবদ্ধক জেলেপাড়ার সংএর পুনরভু্যদয় হয়। (সন ১৩২০ সাল ) । বহুদিন হইতে এই সং সহরবাসীগণের চিত্তবিনোদন করিয়া আসিতেছিল। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকবশতঃ ১৩০৪ সালে নিদারুণ প্লেগ রোগের আতঙ্কে সহরবাসী জনগণের সঙ্গে সংএর