পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খান বাহাদুর কাজেমদীন আহমদ সিদ্দিকী R Gft vS0 “বালিয়াদি ২৬শে মে | বালিয়ার্দীর প্রাচীন জমিদার খান বাহাদুর মৌলবী চৌধুরী কাজেমদীন আহমদ সিদ্দিকী সাহেবের উদ্যোগে গত ২১শে মে বালিয়াদিস্থি বাড়ীর বিস্তৃত প্ৰাঙ্গণে একটি বিরুটি সভার অধিবেশন হইয়াছিল। সেই সভায় স্থানীয় প্ৰায় ৩ শত কৃষক B সঙ্গতি এবং প্রভাবসম্পন্ন লোক উপস্থিত হইয়াছিলেন। খান বাঙ্গাঙ্গুরু ও তাহার একমাত্র পুত্র মৌলবী চৌধুরী লাবিবুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী সাহেব বক্তৃতা করিয়া বংশী নদী ও স্থানীয় খাল হইতে কচুরীপানা ধ্বংসের জন্য আবেদন করেন । ৫১ জন সদস্য লইয়া একটি কমিটি গঠিত হয় । খান বাহাদুর মৌলবী কাজেমদীন কমিটির পরিচালক ( Dictator ) ও তৎপুত্ৰ মৌলবী চৌধুরী লাবিবুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী সভাপতি হইয়াছিলেন। এই সভার পরে মৌলবী চৌধুরী লাবিবুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্ৰায় ১৫০০ শত লোক, ছাত্র ও শিক্ষক বালিয়াদি বাজারের নিকট বংশী নদীতে অবতরণ করিয়া কচুরীপানা ধ্বংস করিতে আরম্ভ করেন । মৌলবী লাবিবুদ্দীনকে স্বহস্তে কচুরীপানা ধ্বংস করিতে দেখিয়া অন্য সমস্ত লোক মহোৎসাহে সে কাৰ্য্যে ব্ৰতী হয়। ইহাদের মধ্যে সাহাবাজপুর এমই স্কুল, টেকি বাডী উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয় ও সেওরাতলী প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকগণ ছিলেন । মৌলবী লাবিবুদ্দীন সেই পািনর শত লোককে চিড়া ও গুড় বিতরণ করেন। মৌলবী চৌধুরী লাবিবুদ্দীনের যত্নে ঢাকা জেলার এই অঞ্চল হইতে কচুরীপান একেবারে ধ্বংস হইবে বলিয়। আমরা বিশ্বাস করি । ১৯৩৬ সালের ১৫ই মে তারিখের অমৃত বাজার পত্রিকায় তাহার প্ৰজা বাৎসল্য সম্বন্ধে যে সংবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছে, আমরা এস্থলে তাহা আমূল উদ্ধত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না ।