পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় শ্যামলধন দত্ত (সলিসিটর ) R9) শুধু খড়োরিয়া পরগণা। এই পরগণা দুই ভাইয়ের মধ্যে বণ্টন করিয়া লাইবার জন্য তিনি ভ্রাতৃদ্বয়কে অনুরোধ করেন । ইহা শুনিয়া রামজয় দত্ত বলেন, তাহ। কখনই হইতে পারে না, খড়োরিয়া পরগণা সমান তিন ভাগ করিয়া লইতে হইবে । ইহা বলিয়া তিনি সম্পত্তির তিনভাগ করিয়া সর্বোৎকৃষ্ট ভাগ কনিষ্ঠ হািরসুন্দর, তৎপর, উৎকৃষ্ট ভাগটি কাশীনাথকে দিয়া নিজে নিকৃষ্ট ভাগটি গ্ৰহণ করেন । তদবধি উক্ত খড়োরিয়া পরগণার নাম হয় - বড় জেলা, মেজ জেলা ও ছোট জেলা । কাশীনাথের নাম প্ৰাতঃ স্মরণীয় । তাহার নাম এখন পৰ্য্যন্তও সকলে স্মরণ করিয়া থাকেন । রামজয় দত্তের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ কালীচরণ দত্ত সাবালক হইয়া মেজ জেলাতে নীলের চাষ করেন। তিনি নীলের ব্যবসায় এতদূর সাধুতার সঙ্গে করিয়াছিলেন যে, ইউরোপে পৰ্যন্ত র্তাহার “মার্কা” প্রথম হইয়াছিল। অধুনা রামজয় দত্ত মহাশয়ের বংশধরগণ কলিকাতার যে সমস্ত সম্পত্তি ও বিষয় ভোগ করিতেছেন, তাহা ৬/কালীচরণ দত্ত মহাশয়ের দ্বারাই অর্জিত ও কৃত । উক্ত কালীচরণ দত্ত মহাশয়ের সময়ে দুইটি সমাজ ছিল ; একটি শোভাবাজার রাজবাড়ীতে রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের কর্তৃত্বাধীনে, আর একটি কালীচরণ দত্ত মহাশয়ের বাড়ীতে র্তাহার কৰ্ত্তত্বাধীনে ।। ৬৮শিব নারায়ণ ঘোষ মহাশয় যখন প্ৰথম বড়লোক চন, তখন তিনি প্ৰথমে শোভাবাজারে গিয়া মিশেন । সেখানে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি ৬/কালীচরণ দত্ত মহাশয়ের শরণাপন্ন হন । কালী চরণের নাম প্ৰতিপত্তির কোন পিপাসা ছিল না । কালীচরণের কনিষ্ঠপুত্ৰ শ্যামলধন দত্ত ১৮৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিন্দু কলেজে শিক্ষা লাভ করিয়া হাইকোর্টের এন্টনী । হন। তিনি পিতার যাবতীয় সৎগুণ সমূহের অধিকারী হইয়াছিলেন । তাহার বয়স যখন ১২ বৎসর, তখনই তঁহার পিতৃবিয়োগ হয়। তিনি