পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বংশ-পরিচয় স্কুলে তিনি ‘ফ্রী’ হইতে পারিয়াছিলেন। মাতাকে তিনি প্ৰতিমাসে বৃত্তির চার টাকাই পাঠাইয়া দিতেন, নিজের জন্য কিছুই রাখিতেন না। দুই বৎসর পড়িবার পর এই সময়ে যাদবচন্দ্রের এক অত্যন্ত অসুবিধা উপস্থিত হইল ; তাহার আশ্রয়দাতা আত্মীয় কালীনাথ ভাদুড়ী মহাশয় এই সময়ে সেরপুরের সরকারী উকিল পদে নিযুক্ত হইয়। ময়মনসিংহ ত্যাগ করেন । ইহাতে নানাদিকে বিপন্ন হইয়া যাদবচন্দ্ৰ আৰ্থিক অসুবিধায় তিন টাকা মাহিনাতে একটি বালকের গৃহশিক্ষতায় নিযুক্ত হন। এইরূপে এণ্টান্স পরীক্ষা পৰ্য্যন্ত আরও কয়েকবৎসর যাদবচন্দ্ৰকে নানাস্থানে অন্যান্য লোকের বাসায় থাকিয়া নানা অসুবিধার মধ্যে ময়মনসিংএর পাঠ সমাপ্ত করিতে হয় । ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে যাদবচন্দ্ৰ এণ্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। ১৫২ পনের টাকা বৃত্তি লাভ করেন, অতঃপর তিনি কলিকাতায় আসিয়া জেনারেল এসেমব্লিজ ইনষ্টিটিউশন এ এফ এ পড়িতে আরম্ভ করেন। এই সময়ে তিনি নিজের ব্যয় বহনের জন্য ১০২ দশ টাকা। রাখিয়া মাতাকে প্রতিমাসে ৫২ পাঁচ টাকা করিয়া পাঠাইতেন। মাতৃভক্ত যাদবচন্দ্র তাহার অভাবনিপীড়িত স্নেহময়ী জননীর জন্য অন্তরে অত্যন্ত ব্যথা অনুভব করিতেন এবং যতদিন মাতা জীবিত ছিলেন, তাহার কষ্ট মোচনের জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই, যাদবচন্দ্রের সৌভাগ্য-সূৰ্য্য যখন মধ্যগগনে ভাস্বর হইয়া দেখা দিলেন তাহার অনেক পূর্বেই তাহার জননী স্বৰ্গারোহণ করিয়াছিলেন। মাতাকে আর্থিক সুখে সুখী করিতে পারেন নাই বলিয়। পরবত্তী জীবনে তিনি অনেক সময় আক্ষেপ করিয়াছেন । যাদবচন্দ্র অর্থাভাবে পুস্তকাদি ক্রয় করিতে না পারিয়া সতীর্থগণের নিকট চাহিয়া লইয়া তাহদের পুস্তক পডিয়া লইতেন। সংস্কৃত কোসের