পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্দেলের জমিদার বংশ জেলা চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত সোনারপুর থানার অধীন দেয়াড় গ্রামে ৬/রামচন্দ্ৰ সাফই মহাশয় বাস করিতেন। ইহারা জাতিতে পৌণ্ডক্ষত্ৰিয়। ইহারা পুরুষানুক্ৰমে অবস্থাপন্ন। ইহাদের দান ধ্যান বংশানুক্রমিক। রামচন্দ্রের পৌত্র ৬৮ গোকুল সাফই একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি জমিজমার বৃদ্ধি ও বিশেষ শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করেন। বৰ্ত্তমানেও দেয়াড়। গ্রামে তাহাদের পূর্ব পুরুষের বৃহৎ বাড়ী ও রাসমঞ্চের ভগ্নস্তৃপ বিদ্যমান আছে এবং তথায় বার মাসে তের পাৰ্ব্বণ যথারীতি অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে। গোকুল চন্দ্রের মধ্যম পুত্ৰ গদাধর সাফ ই একজন ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন । তিনি অসাধারণ প্ৰতাপশালী ছিলেন এবং দুষ্টলোকে তাহার ভয়ে সৰ্ব্বদা সন্ত্রস্ত থাকিত । দোল, দুর্গোৎসব, রাস, রথ প্ৰভৃতি কোন অনুষ্ঠানই তাহার বাড়ী হইতে বাদ যাইত না। তিনি একদিকে যেমন দুষ্টের শাসক, তেমনি অন্যদিকে শিষ্টের প্রতিপালক ছিলেন । তিনি বহুলোককে প্ৰতিপালন করিতেন । তাহার দানের পরিসীমা ছিল না। তিনি সংস্কৃত শিক্ষার পোষক ছিলেন এবং তাহার বাড়ীতে ৮১০ জন অধ্যাপক বাস করিতেন । তিনি সেই সমস্ত অধ্যাপকের আহার বাসস্থানের ও মাসিক বৃত্তির সমস্ত ব্যয়ভার বহন করিতেন । তিনি অধ্যাপকগণকে লইয়। সৰ্ব্বদা ধৰ্ম্মালোচনায় রত থাকিতেন । তিনি গডিয়া মহামায়াতলা আদি গঙ্গায় সাধারণেব জন্য একটি গঙ্গারঘাট, শ্মশানঘাট এবং একটি বিশ্রাম স্থান চাদনী তৈয়ার করেন। তিনি বালীগঞ্জের নিকট কসবায় একটি শিবালয় স্থাপন করেন এবং সেই শিবালয়ে একটি শিব স্থাপন করিয়া তাহাব সেবার জন্য W