পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSo বংশ-পরিচয় বৃন্দাবনী, প্ৰাচীন বাঙ্গালা ও পাশী---এই কয়েক ভাষারই সমাবেশ ও সন্নিবেশ আছে । কবিরাজ গোস্বামী, মহোদয় শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত রচনা করিয়া তাহার পাণ্ডুলিপি শ্ৰীশ্ৰী জীব গোস্বামীর হস্তে প্ৰদান পূর্বক গ্ৰন্থখানি প্ৰকাশের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন । শ্ৰী জীব গোস্বামী পাণ্ডুলিপি পাঠ করিয়৷ ইহার ভাষার লালিত্য, বর্ণনা-সৌন্দৰ্য্য ও পাণ্ডিত্য দর্শনে অতিমাত্র বিস্মত হন এবং মনে মনে ভাবেন যে, এই গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হইলে নিশ্চয়ই পুর্বে প্ৰকাশিত গ্ৰন্থসমূহের মৰ্য্যাদি। লোপ পাইবে । এই ভাবিয়া তিনি পাণ্ডুলিপিখানি নষ্ট করিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হন না । তৎপরে গ্ৰন্থখানির পাণ্ডুলিপি গৌড়ে প্রেরিত হয়, পথিমধ্যে বঁকুড়া বিষ্ণুপুরের রাজা ইহা লুণ্ঠন করেন। তৎপর তাহার নিকট হইতে উদ্ধার করিয়া গ্ৰন্থখানিকে বৃন্দাবনে রাখা হয় । অদ্যাপি অবিরুত অবস্থায় গ্ৰন্থখানি বৃন্দাবনে রক্ষিত হইয়া আসিতেছে। শ্ৰীশ্ৰী কবিরাজ গোস্বামীর প্ৰিয় শিষ্য মুকুন্দ দত্ত গ্ৰন্থখানির একটি নকল রাখিয়াছিলেন, আদ্যাপি সেই নকল তাহার জন্মস্থান ঝামটপুরে বিদ্যমান রহিয়াছে। আজিও কবিরাজ গোস্বামীর জন্মস্থান ঝামটপুরে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের বিগ্রহের পুজা হইয়া থাকে ।