পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য SOе রূপ দেখিয়াছি, দেখিয়া সেই রূপসাগরে ডুবিয়াছি, বোধ হয় জীবনে তেমন রূপ আর দেখিব না।” বলিতে বলিতে বৃদ্ধ চৈতন্যদাস একেবারে ভাবাবেশে অচৈতন্য হইয়া পড়িলেন, শ্ৰীনিবাসও পিতার অবস্থা দেখিয়া নিজে অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন । পিতা পুত্র উভয়েষ্ট ভাবে বিভোর । এইভাবে পিতাপুত্রের কিছুদিন চৈতন্য প্রসঙ্গে কাটিল। তার পর শ্ৰীনিবাসের পিতা চৈতন্যদাস জরিরোগে আক্রান্ত হইয়া স্বৰ্গারোহণ কৱিলেন । শ্ৰীনিবাস যথারীতি শাস্ত্রীয় বিধানমতে পিতার পারলৌকিক ক্রিয়াদি সমাপ্ত করিলেন । মাত লক্ষ্মীপ্ৰিয়াকে তিনি নানা প্ৰবোধবাক্যে আশ্বাস দিলেন । এই সময়ে আশুভের মধ্যেও একটী শুভ ঘটনার উৎপত্তি হইল। পিতার মৃত্যুর পর শ্ৰীনিবাস মাতাকে সঙ্গে লইয়া মাতুলালয়ে যাজি গ্রামে বলরামাচাৰ্য্যের বাটীতে উপস্থিত হইলেন । মাতামহের প্রভূত সম্পত্তিও তিনি পাইলেন । কিন্তু পাইলে কি হয় ? টাকা-কড়ি অর্থ বিত্ত সম্পদ উপভোগ ত তাহার জীবনের উদ্দেশ্য নহে । তিনি যে শৈশব হইতে শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যের অপূর্ব ত্যাগময় জীবনের লীলাকাহিনী শুনিয়া আপন মন হইতে কামনা বাসনা প্ৰভৃতি সমস্ত ভস্মীভূত করিয়াছেন। তাই মাতামহের অতুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইয়াও তিনি প্ৰাণে শান্তি পাইলেন না । সোনার গৌরাঙ্গকে দর্শন করিবার জন্য র্তাহার প্রাণ সদাই অস্থির হইয়া উঠিতে লাগিল । একদিন, দুই দিন করিয়া কয়েক দিন গেল, অবশেষে গৌরাঙ্গ-দৰ্শন-লালসা র্তাহার মনে এত তীব্রতর হইয়া উঠিল যে, তিনি আর ঘরে থাকিতে পারিলেন না । অচিরাং পুরুষোত্তম-অভিমুখে প্ৰস্থান করিলেন । ভক্ত প্ৰবর নরহরি সরকার বা “সরকার ঠাকুর” তঁহার সঙ্গে একজন লোক দিলেন, শ্ৰীনিবাস সেই লোক সঙ্গে করিয়া পুরুষোত্তমে যাত্ৰা করিলেন। কিন্তু