পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిe 8 বংশ-পরিচয় প্ৰকাশিত বহু সংস্কৃত গ্ৰন্থ তাহার দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছিল। তন্মধ্যে কতকগুলির নাম দেওয়া যাইতেছে-কালবিবেক ( জীমূতবাহন-রুত ), মীমাংসা-ভট্টরহস্য, হেমাদ্রিকৃত চতুৰ্ব্বৰ্গচিন্তামণি, প্ৰায়শ্চিত্তখণ্ড ইত্যাদি । ইহা ছাড়া অনিরুদ্ধ ভট্টকৃত সাংখ্যসুত্ৰবৃত্তির একখানি বিস্তৃত টীকা প্ৰণয়ন করেন, ঐ গ্ৰন্থ ৬/জীবানন্দ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রেসে পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইয়া প্ৰকাশিত হইয়াছিল। শুধু বাঙ্গালী ও সংস্কৃত ভাষায় গ্ৰন্থ লিখিয়াই তিনি কৰ্ত্তব্য শেয করেন নাই ; এই সময়ে ধৰ্ম্ম ও সমাজসংক্রান্ত বড় বড় বিশিষ্ট সভায় তাহার বাঙ্গালী ভাষায় উদ্দীপনাময়ী অথচ মধুর বক্ততা-ধ্বনিতে বঙ্গের একপ্ৰান্ত হইতে আর এক প্ৰান্ত পৰ্য্যস্ত মুখরিত হইতেছিল ; বাঙ্গালার প্ৰায় প্ৰত্যেক জিলায় বড় বড় ধৰ্ম্মসভায় সাদরে 'আহুত হইয়া তিনি বক্ত’ বা করিতে যাইতেন । তঁহার বক্ততা শুনিবার জন্য তৎকালে শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজ ব্যাকুল হইয়া থাকিতেন । ৪ ৫ হাজার লোকেরাসমক্ষে দুই তিন ঘণ্টা ব্যাপিয়া অনর্গল বক্ততা করিয়া স্বদেশবাসীর প্রীত সাধন করা তাহার প্রায়ই প্ৰাত্যহিক কাৰ্য্যের মধ্যে পরিগণিত হইয়া ছিল । বঙ্গীয় ব্ৰাহ্মণ সভা, ব্ৰাহ্মণ মহাসন্মিলন, বিবেকানন্দ সোসাইটি, বৌদ্ধধৰ্ম্মান্ধুির সভা, গীতাসভা প্ৰভৃতি প্ৰতিষ্ঠানগুলির স্থিতি, উন্নতি ও প্রচারকল্পে তিনি কত বক্ততা ষে করিয়াছেন তাহার ইচ্যুত্তা নষ্ট বলিলেও অতু্যক্তি হয় না । ১৯২২ খৃষ্টাব্দে তিনি সংস্কৃত কলেজ হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়া নিয়মিত ভাবে কাশীবাস করিতে আরম্ভ করেন । কাশীতে র্তাহাকে পাইয়া হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজের অবিসম্বাদিত প্ৰধান নেতা মাননীয় পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য মহাশয় বড়ই উৎসাহ ও আনন্দসহকারে হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাচ্যবিদ্যা-বিভাগের অধ্যক্ষপদে নিয়োগ করেন। ঐ পদের বেতন