পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমেশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান ও তত্ত্ব-জ্ঞান । ԵՊ উপভোগ করিতেছে। “এতস্যৈবানন্দস্যান্যানিভূতানি মাত্রামুপজীবন্তি।” অতএব তত্ত্বভাবে পরমেশ্বরকে ঋষিগণ অতি উন্নত করিয়া দেখিতেন। বেদান্তসূত্রে আছে “বিকারাবৰ্ত্তিচ তথাহি স্থিতিমাহ ।” ৪র্থ অঃ ৪পাদ ১৯ । অর্থাৎ পরমেশ্বর শুদ্ধ এই জগতের সহিত সম্বন্ধ-বিশিষ্ট নহেন কিন্তু তিনি জগতের অতীতরূপে নিত্য, মুক্ত, বিশুদ্ধ স্বভাবেও স্থিতি করেন। গীতা-স্মৃতিতে উক্ত হইয়াছে “একাংশেন স্থিতোজগৎ’ আমি একাংশে এই জগতে ব্যাপিয়া আছি। পঞ্চদশী কহেন যে, নিরংশ, নিৰ্ব্বিকার পরমেশ্বরেতে এইরূপ অংশ-আরোপ কেবল শিষ্যদিগকে বুঝাইবার নিমিত্তে। এই প্রকারে, ঋষিরা সেই পরমেশ্বরকে অস্তি-ভাবে লাভ করিয়া তত্ত্বভাবেও তাহাকে জানিয়াছিলেন। তাহারা যখন অনেক দূর উন্নত হইয়া অবশেষে কহিয়াছিলেন যে, তাহাকে আর জানা যায় না—তখন ইহা অবশ্যই কহিতে হইবে যে, তাহারা তাহাকে তত দূর জানিয়াছিলেন, যত দূর পরমেশ্বর মানবকে র্তাহাকে জানিবার শক্তি দিয়াছেন । এই হেতু র্তাহারা কহিয়াছেন যে, “অস্তীত্যেবোপলব্ধব্যস্তত্ত্বভাবেন চোভয়োঃ । অস্তীত্যেবোপলব্ধস্য তত্ত্বভাবঃ প্রসীদতি ॥” তিনি আছেন এই বিশ্বাসেও তাহাকে পাওয়া যায়, আর তত্ত্বভাবেও তাহাকে পাওয়া যায়। উভয়ের মধ্যে “তিনি আছেন” যাহারা হৃদয়ে এই বিশ্বাস রাখেন, তাহারা সহজেই তাহার তত্ত্বানুসন্ধান করেন এবং সেই তত্ত্বভাবেও তাহাকে পাইয়া থাকেন। অতএব দেখ, কেমন আশ্চৰ্য্য ভাষায় ঋষিরা এই ভাবটি ব্যক্ত করিয়াছেন। র্তাহারদের জাগ্রত বিশ্বাস আমারদের সকলকে শিক্ষা দিতেছে এবং তাহারদের তত্ত্বভাব আমার